পেটে ভাত নেই যাদের সরকারি অনুদান মিলছে না তাদের সরকারের কাছে অভিযোগ দিলেন বিধবা নারী তাছলিমা বেগম
সাইফুল ইসলাম ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: সরকারের হতদরিদ্রবান্ধব ১০ টাকার চাল ও সরকারি অনুদান নিয়ে এমন কারবার শুরু হয়েছে, যার কারণে যাদের পেটে ভাত জুটছে না, তাদের ভাগ্যে ১০ টাকা দরের চালও সরকারি কোন অনুদান জুটছে না তাদের কপালে। বাস্তবে এ চাল ও সরকারি অনুদান জুটছে তাদেরই, যাদের পেটে ভাত, গোলাভরা ধান এবং মাঠভরা জমিজমা ও বাড়িঘর রয়েছে। এ-সংক্রান্ত অভিযোগ প্রতিনিয়তই শোনা যাচ্ছে।
ঠিক তেমনি করেই বুধবার ( ২২ জানুয়ারি ) সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া সোনালী পাড়া গ্রামের মৃত্যু বাদশাহ মোল্লার গরিব দুস্থ অসহায় স্ত্রী তাছলিমা বেগম শিশু ৩ মেয়ে নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গ্রামের মোড়লদের দারে দারে ঘুরেও একটি বিধবা ভাতার কার্ড কিংবা গরিব দুস্থ অসহায়দের জন্য সরকার যে,১০ টাকা কেজি দরে চাউল দিচ্ছে সেই কার্ড ছাড়াও সরকারি অনুদানের কোন একটি সুযোগই পাননি আজ দীর্ঘ ৩ বছর। এবিষয়ে বিধবা নারী সাংবাদিক কে জানান, স্বামী হারা হয়েছি আজ দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর,আমরা গরিব মানুষ, আমার স্বামী জন্ডিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে থেকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ার কারণেই মারা গেছে। আমার তিনটি শিশু বাচ্চা তাও আবার কন্যা সন্তান, উপার্জন করার কোন উৎস নেই আমার। নেই কোন জায়গা জমি,টাকা পয়সা,কেউ যদি দয়া করে আমাদের কিছু দেয় তাহলে খাই না হয় আমার ও আমার বাচ্চাদের কপালে খাবার মেলে না। আর আমি জানি আমাদের মতো গরিব দুস্থ অসহায় মানুষদের জন্য সরকার দশ টাকা দরে চাউল দিচ্ছে এবং বিধবা ভাতার কার্ড দিচ্ছে কিন্তু দীর্ঘ প্রায় ৩ বছর যাবৎ এগুলোর জন্যও স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান ও মন্ডলদের দারে দারে ঘুরে ও আজ পর্যন্ত তা আমার কপালে জুটাতে পারিনি। সুতরাং বর্তমানে পেটে ভাত নেই যাদের সরকারি কোন অনুদান মিলছে না তাদের, যাদের পেটে ভাত, গোলাভরা ধান এবং মাঠভরা জমিজমা ও বাড়িঘর রয়েছে তারাই শুধু পাচ্ছে এসব অনুদান। তাই আমি আপনাদের ( সাংবাদিক ) মাধ্যমে গরিব ও দেশের মা শেখ হাসিনার কাছে আমার জন্য নয় তিনটি শিশু কন্যা সন্তানের জন্য কিছু ভিক্ষা চায় যেটা পেয়ে শিশু কন্যাদেরকে লালন পালন করতে পারি। এবিষয়ে সাগান্না ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিষয়টা জেনেছি এবার কার্ড এলেই তাকে দেওয়া হবে। স্থানীয় গ্রামের মৃত্যু সামছদ্দীন মন্ডলের ছেলে আঃ রাজ্জাক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মেম্বারের সাথে আলাপ করেছি,তিনি বলেছেন এবার কার্ড এলেই সে একটা কার্ড পাবে।