বিপিএলের ফাইনালে খুলনা টাইগার্স

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন খুলনা টইগার্স। রাজশাহী রয়্যালসকে ২৭ রানে হারিয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠে খুলনা। ১৫৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৩১ রানেই থামে রাজশাহীর ইনিংস। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। নাজমুল হোসেন শান্ত’র অপরাজিত ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে খুলনা। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসার আমিরের বোলিং তোপে ৩৩ রানেই ৬ উইকেট হারায়। ওখানে থেকে আর ফিরে আসতে পারেনি দলটি। শোয়েব মালিক তাইজুলকে নিয়ে কিছুটা চেষ্টা করলেও তা শুধু ব্যবধান কমিয়েছে। মোহাম্মদ আমির একাই ৬ উইকেট নিয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন। লিটন দাস, আফিফ হোসেন, আন্দ্রে রাসেল আর শোয়েব মালিকদের নিয়ে গড়া দলের জন্য ১৫৯ রানের লক্ষ্য যে খুব আহামরি ছিল, এমন নয়। কিন্তু শুরুতেই এমন বিধ্বংসী চেহারায় হাজির হলেন আমির, রাজশাহী আর দাঁড়াতেই পারলো না। শোয়েব মালিক অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন একাই। কিন্তু ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অসাধ্য সাধনের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ৫০ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৮০ রান করা মালিকের উইকেটটিও শেষ পর্যন্ত নিয়েছেন ওই আমিরই। ৩৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া রাজশাহীকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন শোয়েব মালিক। দারুণ ব্যাটিংয়ে রাজশাহী সমর্থকদের আশার আলোও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ১৮তম ওভারে এসে শোয়েবের উইকেটটিও তুলে নেন আমির, সবমিলিয়ে ১৭ রান খরচায় নেন ৬টি উইকেট। এর আগে ব্যাট করতে নেমে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্তর অর্ধশতকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে মুশফিকুর রহিমের খুলনা। টস হেরে খুলনাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান রাজশাহীর অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। দলীয় ১৫ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজ (৮) ও রাইলি রুশোকে (০) হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় খুলনা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও শামসুর রহমান শুভ। তৃতীয় উইকেটে ৭৮ রান তোলেন তারা। ৩১ বলে ৩২ রান করা শুভকে ফিরিয়ে সে জুটি ভাঙেন রবি বোপারা। একপ্রান্ত আগলে রেখে আক্রমণ অব্যাহত রাখেন শান্ত। তার সঙ্গে যুক্ত হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে গতি পায় খুলনা। অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। দলীয় ১৩৫ রানের মাথায় মুশফিক রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলে ধাক্কা খায় খুলনা। ১৬ বলে ২১ রান করেন মুশফিক।
শান্তর অপরাজিত ৭৮ রানের উপর ভর করে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় খুলনা টাইগার্স। ৫৭ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান শান্ত। অপরপ্রান্তে নাজিবুল্লাহ জাদরান ৫ বলে করেন ১২ রান।
রাজশাহীর সফলতম বোলার মোহাম্মদ ইরফান চার ওভারে এক মেডেনসহ ১৩ খরচায় নেন দুই উইকেট। এ ম্যাচে জয়ী দল সরাসরি উঠে যাবে ফাইনালে। তবে হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাদের মাঠে নামতে হবে এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *