সমুদ্রে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতে প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ: নৌবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে নৌবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর যে অপার সম্পদের উৎস, সে বিষয়টি মনে রেখে সমুদ্রসীমায় সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে। প্রচুর মৎস ও খনিজ সম্পদে ভরপুর আমাদের জলসীমার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে নৌবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে হলেও এর সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে হবে।’
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ মিমাংসার ফলে সমুদ্রের গুরুত্ব বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জাতীয় প্রয়োজনে নৌবাহিনীর সদস্যরা সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে কাজ করে থাকে। জাতীয় স্বার্থে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ভবিষ্যতেও সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।’নৌবাহিনীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপনাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’
২০০৯ সালে সরকার জাতির পিতার প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন করে ও তার বাস্তবায়ন শুরু করে বলেও এসময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর আধুনিকায়নে সরকারের নানামুখি উদ্যোগ ও পদক্ষেপ এবং তা বাস্তবায়নের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে নৌবাহিনী যাতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে সেজন্য সরকার এ বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি করে যাচ্ছে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।