তানোরের তিন গ্রামের দুঃখ অবৈধ পুকুর
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কাঁমারগা ইউপির রঘুনাথপুর, মাদারীপুর ও বিহারইল এই তিন গ্রামের মানুষের অবর্নীয় দুঃখ-দুর্দশা একটি অবৈধ পুকুর। ইতমধ্যে গ্রামবাসী বিগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। কিšত্ত অভিযোগের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে এখানো এবিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে অবৈধ এই পুকুরের কারণে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হওয়ায় বিহারইল মাঠের প্রায় শত বিঘা ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসী এই অবৈধ পুকুর ভরাট অথবা মাঠের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র ও প্রভাবশালী মতিউর রহমান গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা ও ফসলী মাঠের পানি নিস্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিহারইল মাঠের ফসলী জমিতে একটি অবৈধ পুকুর খনন করেছেন। এদিকে মাঠের পানি নিস্কাশনের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে অবৈধ পুকুর খনন করায় তিন গ্রামের মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় কৃষক সুরেশ, নিখিল ও সন্তোষ অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ এই পুকুরের কারণে বর্ষা মৌসুমে বন্যার দেখা দেয় অনেক বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে, আবার খরা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃস্টি হওয়ায় অনেক ফসলী জমি অনাবাদি হয়ে থাকে। কিšত্ত গ্রামবাসীর পক্ষে বার বার অনেক আবেদন-নিবেদন করা হলেও পুকুর মালিক নিরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। ফলে এই পুকুরকে কেন্দ্র করে তিন গ্রামের মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় তারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর মালিক মতিউর রহমান বলেন, তিনি তার জমিতে পুকুর খনন করেছেন, এখানে গ্রামবাসীর সুবিধা-অসুবিধার প্রশ্ন আসছে কেনো। তিনি বলেন, তারা যদি মনে করে আমার পুকুর তাদের ক্ষতির কারণ তাহলে তারাও পুকুর খনন করুক আমার কোনো সমস্যা নাই। কৃষি জমিতে পুকুর খননে প্রশাসনের অনুমতি প্রয়োজন তিনি নিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের তিনি কোনো সদোত্তর না দিয়ে কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ নাসরিন বানু বলেন, এবিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে বলে তিনি জানান।