তানোর পিআইও অফিস অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়া ?
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় (পিআইও) অফিস অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়ে উঠেছে, চলছে সরকারী অর্থ লোপাটের মচ্ছব অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) নেপথ্যে মদদে এখানে কর্মরত উমেদারদের নিয়ন্ত্রণে পিআইও অফিস অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিনত হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম এখানে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে চলছে অনিয়ম ও দূর্নীতির মহোৎসব। সরেজমিন প্রকল্প পরিদর্শন বা গোপণে অনুসন্ধান করলেই এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর দাবি।
এদিকে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন, উন্নয়ন ও সংস্কার প্রকল্প কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (কাবিখা), টেষ্ট রিলিফ (টিআর), ৪০ দিনের কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ও কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) ইত্যাদি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ উত্তোলনে আগে পিআইও কর্মকর্তাকে (অগ্রিম কমিশন) আগে টাকা দিতে হচ্ছে বলেও প্রচার রয়েছে। সরকার দলীয় এক পকল্প সভাপতি বলেন, তিনি মাননীয় এমপি মহোদয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে একটি কাবিটা প্রকল্প পেয়েছেন। কিšত্ত প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই প্রকল্প কর্মকর্তা শতকরা দশ শতাংশ হারে কমিশন আদায় করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, শুধু কাবিটাই নয় হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) প্রকল্প থেকেও তাকে আনুঃপাতিক হারে কমিশন দিতে হচ্ছে। চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ, পাঁচন্দর, তালন্দ ও কলমা ইউপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সদস্য (মেম্বার) বলেন, প্রতিটি প্রকল্পের বরাদ্দ উত্তোলন করতে পিআইও তারিকুল ইসলামকে দশ থেকে পনের শতাংশ কমিশন দিতে হয়। আর এসব কমিশনের অর্থ আদায় করছেন অফিসের উমেদার (চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী)। এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) তারিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার কাছে থেকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কেউ অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এমন অভিযোগ করতে পারে। এব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।