সৈয়দপুরে বন বিভাগ বাগানের ২০ লক্ষাধিক টাকার শতাধিক বৃক্ষ প্রকাশ্য দিবালোকে বিক্রি, সরকার হারালেন রাজস্ব পকেটস্থ করলেন স্থানীয় প্রভাবশালী দিলিপ চন্দ্র ।
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস: সৈয়দপুর উপজেলায় সামাজিক বনায়নের আওতায় স্থানীয় বন বিভাগ কর্তৃক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে সৈয়দপুর উপজেলার পচানালা সেচ ক্যানেলে প্রায় দশ বছর পূর্বে রোপিত হয় নানান জাতের বনজ ও ফলজ বৃক্ষ। স্থানীয় উপকার ভোগীদের সদস্য করে কমিটি আকারে সীমানা বন্টন করে বাগান করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যেগে সেচ ক্যানেল খোড়াখুড়ি প্রকল্প শুরু হলে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের জোতদার পাড়া গ্রামের পাশে পচানালা ক্যানেলের উপকারভোগী কমিটির সভাপতি নিজেকে ফরেষ্ট অফিসার ভেবে বনবিভাগ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সকল প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকজন দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাকে গোপনে ম্যানেজ করে দিনের বেলা পাইকার ডেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা মূল্যের শতাধিক গাছ কেটে বিক্রয় করলেন স্থানীয় ইউপি মেম্বার আনিসুর ও তার সহযোগী দিলিপ চন্দ্র পিতা কেশব চন্দ্র্।
এব্যাপারে ১১ই ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিনে দেখতে পাওয়া যায় পাইকার করাত দিয়ে মোটা মোটা পাঁচটি গাছ কেটে ফেলেছেন এবং আরো পাঁচটি গাছ কাটার আয়োজন চলছে। তাদেরকে গাছ কাটার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বলেন স্থানীয় প্রভাবশালী দিলিপ বাবুর গাছ থেকে ৮টি গাছ ৮০ হাজার টাকায় কিনেছি। আমার মতো আরো অনেকে আরো কিছু গাছ কিনেছে তারাও গাছগুলি কাটছে।
এ ব্যাপারে সেই প্রভাবশালী ব্যাক্তি দিলিপ বাবুর মোবাইল নং ০১৭৪১২৯০১১২ এ যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছি। আমি বাগানের সভাপতি, কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য চৌমহনি বাজারে আসতে বলেন। ঘটনাস্থল হতে সৈয়দপুর বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন ও নার্সারীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসানকে টেলিফোনে ঘটনাটি জানালে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে তার কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে বিষয়টির সত্যতা পান। এব্যাপারে তিনি আরো জানান যে আমি প্রয়োজনে কোন মিলে গাছগুলি আছে সেটি উদ্ধার করব এবং প্রয়োজনে সেই সব জড়িত ব্যাক্তি যতবড়ই ক্ষমতাশালী হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।