দেশ বাঁচাতে হলে আ’লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে -ওবায়দুল কাদের
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নকে রক্ষা করতে হলে শেখ হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। গতকাল সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্লোগান দিয়ে আর পোস্টার-ব্যানারে সুন্দর সুন্দর ছবি ছাপিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা হওয়া যায় না। সুসময়ের বসন্তের কোকিলদের আমরা চাই না। দুঃসময়ের কর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রামের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী কমিটিতে জায়গা পাননি। তাদের জায়গা করে দিতে হবে। কর্মীদের কোণঠাসা করে আওয়ামী লীগ বাঁচবে না।
তিনি বলেন, চৌদ্দ পুরুষকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পকেট কমিটি আর চলবে না। কমিটি করতে গিয়ে দল ভারীর জন্য খারাপ লোকদের টেনে আনা চলবে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সৎ, দক্ষ ও সাহসী রাজনৈতিক নেতার নাম শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বে দু’জন সেরা প্রধানমন্ত্রীর একজন হচ্ছেন শেখ হাসিনা। সারাবিশ্বে সবচেয়ে ১০ জন প্রভাবশালী নেতার একজন শেখ হাসিনা।জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের অন্যতম সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি। তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী মুখে ইসলামের কথা বললেও ওদের অন্তরে ইসলাম নেই। জামায়াতের নেতাকর্মীরা হজ পালন করে না। ইসলামকে ধ্বংস করার রাজনীতি করছে জামায়াতে ইসলামী।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মৃত্যুঞ্জয়ী, তাদের মৃত্যু নেই। আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম দল। এ দলকে পরাস্ত করার ক্ষমতা ও শক্তি বিএনপি-জামায়াতের নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাম্মী আহমেদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ূয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম রাব্বানী চিনুসহ এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্যরা। সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী আলমগীর হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ভিপি আবদুল মান্নান।