তানোরে রহমান কোল্ড স্টোরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে মেসার্স রহমান (কোল্ড স্টোর) হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দূষণ সন্ত্রাসের পর এবার আলু চাষি কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নামে রহমান হলেও এদের বেরহম কারবারের ফাঁদে পড়ে কৃষকরা (আলু চাষি) নিঃস্ব হতে চলেছে। স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষ তাদের সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রতি দিয়ে ঋণ বিতরণ করেছেন। অথচ এখন নানা অজুহাতে কৃষকদের জিম্মি করে প্রায় ১৬ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছেন। অন্যদিকে হিমাগারের আলু রাখার জন্য প্রতি বস্তায় ২০০ টাকা বলা হয়েছিল, কিšত্ত এখন আলু বিক্রির সময় তারা কৃষকদের জিম্মি করে ২৬০ টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। মেসার্স রহমান কোল্ড স্টোর হিমাগারের মালিক শিল্পপতি ফজলুর রহমান। রাজশাহীর পবা ও তানোর উপজেলায় তার পাঁচটি হিমাগার রয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশে অচ্ছিুক একাধিক কৃষক বলেন, স্টোর চত্ত্বরে প্রায় প্রতিনিয়ত গভীর রাতে মাদক (চোলাই মদ) সেবনের আসর বসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চলতি বছরের ৮ নভেম্বর শুক্রবার দুপুরে তানোরের দেবীপুর মোড়ে রহমান কোল্ড স্টোর চত্ত্বরে কৃষকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ব্যাপক হৈচৈ-হট্রগোল করে অতিরিক্ত ভাড়া ও সুদ আদায় বন্ধের দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দিলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, গত মৌসুমে নানা প্রলোভন দিয়ে তারা তাদের হিমাগারে কৃষকের আলু হিমাগারে রেখেছেন। অথচ এখন আলু বিক্রির সময় নানা অজুহাতে কেটে নেয়া হচ্ছে বাড়তি টাকা। তারা কৃষকদের বলেছিলেন, কৃষকদের (আলুচাষি) সুবিধার্থে তারা বিনা সূদে ঋণ দিবেন। আলু বিক্রির সময় টাকা পরিশোধ করা যাবে। আর আলু উৎপাদনের পর প্রতি বস্তা আলু হিমাগারে রাখা যাবে ২০০ টাকা ভাড়ায়। কিšত্ত এখন আলু বিক্রির সময় তারা কৃষকদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া ও প্রায় ১৬ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছেন। প্রসঙ্গগত, গত মৌসুমেও মেসার্স রহমান কোল্ড স্টোরের বিরুদ্ধে পচাঁ আলু রাস্তার ধারে খোলা জায়গায় ফেলে পরিবেশ দুষণের অভিযোগ উঠেছিল। তাদের দূষণ সন্ত্রাসে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে এভাবে বিপুল পরিমাণ আলু পচাঁয় কৃষকরা চরম ক্ষতির মূখে পড়েছিল। প্রতি বস্তায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ কেজি করে আলু পচে নষ্ট হয়েছিল। কারিগরি ও যান্ত্রিক ক্রটির কারণে এভাবে আলু পচে নস্ট হওয়ায় ওই সময় ক্ষতিগ্রস্তদের কিছুটা ক্ষতিপূরুণের প্রতিশ্র“তি দিয়েছিল কোল্ড স্টোর কর্তৃপক্ষ তবে এখন পর্যন্ত কাউকে কোনো ক্ষতিপূরুণই দেয়া হয়নি বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স রহমান (কোল্ড স্টোর) হিমাগারের ম্যানেজার নুরুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এদিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, কেউ তাদের কাছে থেকে অবৈধ সুবিধা না পেয়ে তাদের ব্যবসার সুনামক্ষুন্ন করতে এমন মনগড়া কথা বলতে পারেন। তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যেভাবে কোল্ড স্টোর চলে তারাও সেই ভাবে কোল্ড স্টোর পরিচালনা করছেন।