যত্রতত্র রাস্তা পার হলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও কঠোর করার কথা জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পথচারী ফুটওভার ব্রীজ ও জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপার না হয়ে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হলে পথচারীদের সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। যেখানে জেব্রা ক্রসিং আছে সেখানে রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক পুলিশ সাহায্য করবে।’ সোমবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্ট্রলোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সড়ক আইন-২০১৮ এর প্রয়োগ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নতুন আইন বাস্তবায়ন নিয়ে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। সবশেষ গত ১ নভেম্বর গেজেট পাশের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর ফলে পুরনো আইনের ধারা পরিবর্তন হয়ে গেছে। নতুন ধারা সম্পর্কে ডিএমপির ৮ শ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইন সম্পর্কে নতুন একটি বই বাজারে এসেছে।’ শফিকুল ইসলাম জানান,‘ সব কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে নতুন আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নতুন আইন যদি কেউ প্রথমবার ভঙ্গ করে তাহলে তাকে সামান্য পরিমাণ জরিমানা করা হবে। একই সঙ্গে তাকে একটি লিফলেট দেয়া হবে যে পরবর্তীতে এই একই অপরাধ করলে তাকে আইন অনুযায়ী পুরো জরিমানা বা শাস্তি ভোগ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও কর্মকর্তা মামলা না দিয়ে অন্য কোনভাবে সুবিধা নিতে চাইলে আর কেউ যদি সেটা নিয়ে অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সার্জেন্টদের ক্যামেরা দেবো। এমন ঘটনার যদি অভিযোগ থাকে আর যদি সার্জেন্টের ক্যামেরা অন না থাকে (বন্ধ থাকে), আমরা ধরবো সে অবৈধ কাজের জন্য বন্ধ রেখেছিল। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ বর্তমানে অনেক সার্জেন্ট ও ট্রাফিক পুলিশ হেলমেট পড়ে না। এই আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ স্বচ্ছ থাকবে। আমরা পুলিশের সবাইকে বলে দিয়েছি ট্রাফিকের লোকজন যদি আইন অমান্য করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।’ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে ডিএমপিতে পজ মেশিনের মাধ্যমে মামলা দিতাম, তবে সফটওয়্যার আপডেটের কারণে মেশিনে মামলা দেওয়া আপাতত বন্ধ আছে। আমরা আগের নিয়মে কাগজের কেস স্লিপ বই প্রিন্ট করেছি। সেটা দিয়ে আপাতত মামলা দেয়া হবে।’ মামলার ধারাগুলো নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন,‘ এই মামলায় নতুন কিছু বৈচিত্র্য আছে। এখানে সাজার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি এতে মানুষের মধ্যে ভয়ে হলেও আইন মানার প্রবণতা সৃষ্টি হবে। উন্নত বিশ্বের মতো আইনভঙ্গের জন্য পয়েন্ট কাটার সিস্টেম করা হয়েছে।’ কমিশনার বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় কেউ মারাত্মক আহত ও নিহত হলে থানায় মামলা হবে। ড্রাইভারের পয়েন্ট কর্তনের বিষয় সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে, এতে বুঝা যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের কত পয়েন্ট কর্তন হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *