সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ ইসলাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী হালিমার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ

সুজানগর (পাবনা ) প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইসলাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ডাঃ হালিমার বিরুদ্ধে শিশু হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী সুজানগর পৌরসভা এলাকার চরভবানীপুর গ্রামের ইনতাজ আলী শেখের ছেলে রাকিব হাসান রতন রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) এবং জেলা সিভিল সার্জন ও সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার বরাবর এক অভিযোগ করেছে। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, আমার স্ত্রী রিদিয়া রায়হান রিয়ার প্রথম সন্তান সম্ভাবনা হওয়াতে, গত ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখে আমার পরিবারের সদস্যরা আমার স্ত্রীর সন্তান প্রসব ব্যাথা অনুভব হওয়াতে সন্ধ্যায় সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সী বিভাগে নিয়ে গেলে, কর্মরত চিকিৎসক চিকিৎসা দেন, ওখান থেকে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোছাঃ হালিমা খাতুন তার বাসায় রাতে নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দিয়ে বলেন, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যাবে না, আমি ও আমার স্বামী দু’জনই ডাক্টার, রাতে আমার বাসায় নিয়ে আসবেন, বাসায় ডেলিভারির সকল ব্যবস্থা আছে। সরল বিশ্বাসে রাতে হাসপাতালের পেছনে উনাদের নিজস্ব বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমার স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হতে থাকলে পাশেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে ডাক্টার ইসলাম উদ্দিন রেগে বলেন, এখানে আমরা দু’জনই ডাক্টার হাসপাতালে নিয়ে কি করবেন। রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকার দিকে আমার স্ত্রী কে ডেলিভারি করতে গিয়ে আমার প্রথম পুত্র সন্তান কে মেরে ফেলেছে ওনারা। তিনি আরো বলেন সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন ও তার স্ত্রী মোছাঃ হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে আমার মত আরো অনেকেরই এ ধরণের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ডাক্টার দম্পতি এলাকার প্রভাবশালী মহলকে দিয়ে আমাকে বিভিন্ন রকম হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখায়। আমি গোপনে যানতে পেরেছি হাসপাতালে মহিলা পুরুষ দালাল লাগিয়ে, হাসপাতাল থেকে রুগী তার বাসায় নিয়ে চিকিৎসা সহ অবৈধ গর্ভপাত ও নানান রকম অপকর্মের লিপ্ত হয়ে অনেক টাকা অবৈধ ভাবে আয় করেছে, হাসপাতালের পেছনে তারা প্রায় ২০ শতাংশ জমি কিনে নিজস্ব বাড়ী করেছে, ডাক্টারে সাইনর্বোড ঝুলিয়ে নাম মাত্র একটি ব্রেঞ্চ এর উপর যুবতী মেয়েদের অবৈধ গর্ভপাত ও গর্ভবতী মহিলাদের ডেলিভারি করিয়ে থাকেন এবং ডাক্টার ইসলাম সুজানগর উপজেলার পার্শ্ববর্তি থানায় গিয়ে চেম্বার করে রুগী দেখেন। ডাক্টার ইসলাম ও তার স্ত্রী ডাক্টার হালিমা খাতুনের বিরুদ্ধে আমার প্রথম পুত্র সন্তান কে হত্যার বিচার দাবী করছি। এ ধরণের কার্যকলাপ র্দীঘদিন ধরে চালিয়ে আসছে তারা, নয়ন নামক ব্যাক্তি জানান শুধুমাত্র একটি ব্রেঞ্চের উপর ডেলিভারীর কাজ করেন তারা, এ ধরণের কর্মকান্ড বন্ধের জোড় দাবি জানান এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *