চন্দনকৌঠা উচ্চ বিদ্যালয় আকুন্ঠ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউপির চন্দনকৌঠা উচ্চ বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত ও অনিয়ম-দূর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আকুন্ঠ দূর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়টি এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে তেমন কোনো অবদান রাখতে পারছে না। কিšত্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পিছনে এমপিওর লাখ লাখ টাকা অপচয় হচ্ছে বলে মনে করছে সুশিল সমাজ তাদের মতে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোনো ভাবেই এমপিও সুবিধাভোগের অধিকার রাখে না এমন প্রতিষ্ঠানের এমপিও বন্ধ করা উচিৎ বলেও তারা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এছাড়াও শিক্ষকদের যোগ্যতা-পাঠদান পদ্ধতি, নিয়োগ পক্রিয়া, শিক্ষক প্রতি ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ইত্যাদি সরেজমিন অনুসন্ধান পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি বলেও তারা মনে করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও শিক্ষক নিজেই তেমন কম্পিউটার পরিচালনা করতে জানেন না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৭৩ সালে উপজেলার কলমা ইউপির চন্দনকৌঠা গ্রামে চন্দনকৌঠা উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন এবং ১৯৮৫ সালে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত এমপিওভুক্তকরণ করা হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষক ১১ জন ও কর্মচারী ৪ জন মোট ১৫ শিক্ষক কর্মচারী রয়েছে,তবে শিক্ষক-কর্মচারী অনুপাতে শিক্ষার্থী নাই। চলতি বছরের ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খাতা-কলমে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন বলে দাবি করেন, তবে বিদ্যালয়ে মাত্র ১৩ জন শিক্ষার্থীর দেখা মিলে। স্থানীয়রা জানায়, সরেজমিন অনুসন্ধান করলেই এসব অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যাবে। চন্দনকৌঠা গ্রামের বাসিন্দা ও অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী গোপণে তাদের অনুগতদের নিয়ে পকেট কমিটি করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা সময় মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকে না তারা অফিস সময় মানছেন না। তিনি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি করেন। এ বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি বিশেষ মহল বিদ্যালয়ের সুনামক্ষুন্ন করতে এসব মিথ্যা প্রচারণা করছে। তবে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে বলে তিনি শিকার করেছেন।