সৈয়দপুরে রেল ভূমিদস্যুরা সরকারের বিপক্ষে স্কুল শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করলেন।
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস: ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি রেলওয়ের বিভাগীয় সিটি শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত ছিলো। অতীতের সরকার গলি রেলকে অবহেলা করার কারণে রেলওয়ের অসাধু কর্মচারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় শ্রমিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদদে রেলওয়ের মূল্যবান জমি, বাসাবাড়ি, কোয়ার্টার চলে যায় ভূমিদস্যুদের দখলে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা রেলকে আধুনিকায়ন, রেলওয়ের পুরাতন ঐতিহ্য গৌরব ফিরিয়ে আনতে যে নিদের্শনা দিয়েছেন সে নির্দেশনা মোতাবেক মাননীয় রেলমন্ত্রী কাজ শুরু করলে স্থানীয় রেল ভূমিদস্যু গডফাদার মোকছেদুল মোমিন তিনি বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ভাগ বাটোয়ারার অংশীদার পৌরমেয়র গডফাদার আমজাদ হোসেন সরকার দুইজনে মিলেই সৈয়দপুর রেলওয়ের বাসাবাড়ি, কোয়ার্টার, পানির ট্যাংক, ড্রেন নর্দমা রির্জাভার, খালি জমি, জলাশয় ভরাট, শতবর্ষী গাছ কর্তন করে নির্মান করতে থাকেন একের পর এক বহুতল ভবন, মার্কেট, বাড়ি। রেলওয়ের সিংহভাগ জমি বেচাকেনা ও দখল বানিজ্যে মুল ভূমিকায় ছিলেন এই দুইজন। তাদের সহযোগী ছিলেন রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারী। বর্তমানে রেলওয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে রেলওয়ের অবৈধ দখলকৃত মূল্যবান জমি, বাসা, কোয়ার্টার ইত্যাদি প্রয়োজন হলে রেলওয়ে সেইসব স্থাপনা উচ্ছেদ করার জন্য নোটিশ প্রদান করে। সরকারের এই উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন এই দুই ভূমিদস্যু গডফাদার, তারা কালো টাকা খরচ করে অধিকার ও বাস্তুহারা নামে অবৈধ দুটি সংগঠন তৈরী করে সাধারন দখলকারীদের একাত্ব করে রেল ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তারই ফলশ্রতিতে গত ২১ শে সেপ্টেম্বর দুপুর দুইটায় এই দুটি সংগঠন তাদের অবৈধ দাবী আদায়ের জন্য রেলভূমিতে বসবাসরত লোকজনকে দিয়ে মানব বন্ধনের ডাক দেয়। অবৈধ দখলকারীরা তাদের সাথে একাত্ব হয়ে মানব বন্ধনে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে শহরে মাইকিং করে সকল স্কুলের শিক্ষার্থিদের এই মানব বন্ধনে উপস্থিত হতে বাধ্য করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় লায়ন্স স্কুল, পাইলট স্কুল, সামসুল হক মেমোরিয়াল একাডেমি, আল ফারুক একাডেমি তাদের স্কুলের ব্যানার নিয়ে মানব বন্ধনে উপস্থিত হন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে কোন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের সরকারের উন্নয়ন কাজের বিরোধীতায় প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ তাদের ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু সৈয়দপুরে এই দুই গডফাদার ভূমিদস্যুরা এতই ক্ষমতাবান যে তাদের নির্দেশ অমান্য করার সাহস হয়নি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। এ ব্যাপারে অভিভাবক মাসুদ হায়দারকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান আমার বাচ্চাকে স্কুলে পাঠিয়েছি শিক্ষা গ্রহণের জন্য। এইসব অবৈধ দাবী আদায়ের জন্য রাস্তায় মানববন্ধন করার জন্য নয়। শিক্ষা প্রশাসন ও অভিভাকদের অনুমতি ছাড়া শিক্ষার্থীদের এই ধরনের কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা বা জেলা প্রশাসন কেন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না সেটি একটি বিস্ময়।