রক্তাক্ত বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ! সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকালের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রাখে। হঠাৎ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে কথিত বহিরাগতরা। এ হামলায় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শনিবার (২১ সেপ্টম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন গোবরা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবির পদত্যাগ করেছেন। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সহকারী প্রক্টর মো. হুমায়ুন কবির বিকেলে প্রক্টরের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি- উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার নাসির উদ্দিনের প্রত্যক্ষ নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৪০-৫০ জনের একটি দল তাদের ওপর রামদা, হকিস্টিক এবং লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফিশারিজ দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মাথা ইট দিয়ে ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অহত শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাস এলাকার বাইরে শহরের গোবড়া মসজিদের সামনে, বালুরমাঠ, সোবহান সড়ক এবং সোনাকুড় এলাকায় উপাচার্য সমর্থিত দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালায়। এতে আন্দোলনরত ৩০ শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর আগে শনিবার সকালে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নিদের্শনায় বলা হয়, আজ রাত ৮টার মধ্যে সব ছাত্রী ও রবিবার সকাল ১০টার মধ্যে সব ছাত্রদের হলত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নির্দেশ উপেক্ষা করে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসের বাইরে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাচারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার, নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।