তানোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আলাদা প্রকল্প !

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ একতলা একাডেমিক ভবনের ছাদে প্রায় কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূধিমহল বর্তমান জরাজীর্ণ ভবন ধ্বসের আশঙ্কায় হতাশা প্রকাশ করেছে। স্থানীয় আব্দুল মজিদ, জাইদুর রহমান ও সেলিম উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের বর্তমান ভবনের দেয়ালে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে,পলেস্তার খসে পড়েছে, দেয়ালগুলো অনেক আগেই নস্ট হয়ে গেছে। আবার দেয়ালের নিচের অংশে ভাঙ্গন দেখা দিলেও ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনের ছাদে আরো একতলার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বারবার স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও তারা সম্প্রসারণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। অভিভাবকগণ জানান, স্কুলের দক্ষিন পার্শ্বে প্রচুর পরিমাণ জায়গা থাকার পরেও বিপদজনক এই ভবনের ছাদে কেনো সম্প্রারণ কাজ করা হচ্ছে সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। সংশ্লিস্ট ঠিকাদারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ছাদে হরিজেন্টাল ও ভার্টিকাল পক্রিয়ায় এক্সটেনশনসহ ৫টি রুপ ও ১টি টয়লেট নির্মাণের জন্য প্রায় এক কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কাজ করছেন মেসার্স জীবন কন্ট্রাকশন। বিগত ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে নির্মিত ২১ বছরের পুরাতন ভবনের ছাদে সেপ্টেম্বর থেকে সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হয়।
অন্যদিকে সম্প্রসারণ ও নতুন ভবন নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমাণের নির্মানসামগ্রী ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক,শিক্ষব-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, শুকদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একতলা একাডেমিক ভবন দীর্ঘদিন ধরে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে ভবনের সিংহভাগ স্থানে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। তারা বলেন, ভূমিকম্পনপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলের অর্ন্তভুক্ত তানোরে মাঝারী ভূমিকম্পন বা বড় ঝড় হলেই এই ভবন ভেঙ্গে পড়বে এমন ঝুঁকি মাথায় নিয়েই শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করছে। অথচ ভূমিকম্পনপ্রবণ এলাকায় এমন ঝুঁকিপূর্ণ ভবন কি বিবেচনায় দ্বিতল করে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করা হচ্ছে সেটা তাদের বোধগম্য নয়, ঝুঁকিপূর্ণ দ্বিতল ভবনে হয়তো অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করাতে চাইবেন না। তারা ঝুঁকিপূর্ণ একতলা ভবন দ্বিতল না করার দাবি করেছেন। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেরামত আলী বলেন, স্কুলের সম্প্রারণ ও নতুন ভবন নির্মাণ মন্ত্রণালয় থেকে করানো হচ্ছে এতে তাদের কোনো হাত নাই। এব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার জীবন অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিডিউল দিয়েছে তারা সেই ভাবে কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *