মোংলায় একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা
মোংলা প্রতিনিধি: মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবাকে লোহার রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের কামারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, মা লায়লা, পিতা আঃ মজিদ সরদার ও তাদের কন্য রুনা বেগম। লায়লা বেগমকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা অবনতী দেখে মূমুর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মাথায় মারাত্মক জখম থাকায় লায়লা বেগমের অবস্থা আশংঙ্কাজনক। এ প্রসঙ্গে আহত লায়লা বেগম জানান, কামারডাঙ্গা এলাকায় দুই পরিবারের শিশুদের সাথে খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি হয়। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায় দু’পরিবারের বড়দের মধ্যে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরে। শিশুদের মারামারি ঘটনাটি মিটে গেলেও স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসী মোঃ জসিম (২৫) ও মোঃ জাহিদ (৩৫), মজিদ সরদারের বসত ঘরে ঢুকে লাঠি সোটা নিয়ে হামলা করে আমার কন্যা রুনা বেগম এবং স্বামী আঃ মজিদ সরদারকে বেরধকভাবে এলোপাতারি পিটাতে থাকে। তখন কন্যা ও স্বামীকে বাঁচাতে গেলে সালমা বেগম ও রাশিয়া বেগম তাদের ধরে রাখায় এ দুই সন্ত্রাসী তাদের রড এবং ইট দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা গৃহবধু লায়লা বেগমের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এলাকাবাসী রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে লায়লার অবস্থা অবনতি হলে পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালক ডাঃ জিবেতোষ বিশ্বাস জানান, লায়লা বেগমের মাথায় আঘাতে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং কাটাস্থানে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় কামারডাঙ্গা এলাকার ৪ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে। মোংলা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কামারডাঙ্গা এলাকা থেকে লায়লা বেগম বাদী হয়ে একটি মারামারী ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে আহত লায়লাকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়া হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।