শেরপুরে জিহাদী বই ও অস্ত্রসহ ১৭ শিবির নেতাকর্মী গ্রেফতার

আলহাজ্ব মাহবুবর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুর জেলা শহরের পৌরসভার দিঘারপাড় মহল্লায় এক গোপন বৈঠকের সময় বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, ব্যানার ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১৭ জন শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে শেরপুর সদর থানার পুলিশ। ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে দিঘারপাড় মহল্লার একটি পরিত্যক্ত গোডাউনের অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১১ জন শ্রীবরদী উপজেলার ও ৬ জন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- নালিতাবাড়ী উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের সামছুজ্জামানের ছেলে আশিক বিল্লাহ (১৮), কিল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হাসান (১৮), ছিটপাড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম (১৯), বাগিছাপুর গ্রামের ইসমাইলের ছেলে আলমগীর (১৯), রাজনগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওসেক বিল্লাহ (১৮), শ্রীবরদী উপজেলার পোড়াগড় গ্রামের বাচ্চা গেল্লার ছেলে ওবায়দুল ইসলাম (১৮), আব্দুস সামাদের ছেলে কামাল মিয়া (২২), ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহর ছেলে আবু সামা কবির (২০), বড় পোড়াগড় গ্রামের সবুর উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (১৬), জলংগাপাড়া গ্রামের মোঃ মামুনের ছেলে বেলায়েত হোসেন (১৮) ও বায়জিদ হোসেন (১৬), আব্দুল খালেকের ছেলে মোঃ নুরনবী (১৬), সাতানি মথুরাদি গ্রামের আমির আমজার ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম জাহিদ (১৬), তাতিহাটি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (১৭), সাইদুল ইসলামের ছেলে আরাফাত (১৫), তিনানী ভেলুয়া গ্রামের আবু আহাম্মদের ছেলে মাহাদি হাসান (১৮) ও খামারিপাড়া গ্রামের আবুল বারেকের ছেলে সুন্দর আলী (১৬)। এরা সকলেই বিভিন্ন মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জানান, শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় মহল্লার বলবল বাজার এলাকা সংলগ্ন ওই গোডাউনে বসে নাশকতার উদ্দেশ্যে শিবির কর্মীরা এক গোপন বৈঠক করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌণে ২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এসময় স্থানীয় ইসমাইল হোসেন হরফ আলীর পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে বৈঠক করা অবস্থায় ১৭ শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদী বই, লিফলেট, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম পিপিএম সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, ধৃত শিবির কর্মীরা সকলের বয়স ১৮-২০ বছর। এরা নাশকতার উদ্দেশ্যে ওই স্থানে গোপন বৈঠক করছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে এমনটাই জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *