তানোরের বিল্লী হাটে সরকারী খাস সম্পতি বেচাকেনা !
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরের কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকার বিল্লী হাটে সরকারি খাস সম্পত্তি দখল ও স্থাপনা নির্মাণ করে কেনাবেচা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বিল্লী হাটের অস্থিত্ব চরম হুমকির মূখে পড়েছে। এদিকে চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার ডাকযোগে এলাকার ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা রাজশাহী জেলা প্রশাসক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কলমা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, এবার তারা দেখতে চাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারে কি ভূমিকা রাখছেন। কারণ কলমা ইউপির গঙ্গারামপুর গ্রামে ভূমিহীন নারী স্বপ্না সরকারী খাস সম্পত্তিতে বসতঘর নির্মাণ করায় ইউএনও সাহেব তার ঘর ভেঙ্গে মালামাল নিলাম করেছেন।স্থানীয় ভূমিহীনরা এসব ভূমিগ্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গতকাল সরেজমিন, বিল্লীহাটে গিয়ে, সরকারি খাস সম্পত্তি জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও বেচাকেনার সত্যতা পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ভূমিগ্রাসী মহলের চরম দৌরাতেœ্য বিল্লী হাটের কয়েক কোটি টাকার সরকারি খাস সম্পত্তি বেহাত হয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ভূমি অফিসের কর্মকর্তাকে ঘর প্রতি ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সুবিধা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির জাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়েন উদ্দীনের পুত্র রফিকুল ইসলাম হাটের সরকারী জায়গা দখল করে এক লাথ ৭৫ হাজার টাকায় একটি দোকান ঘর বিক্রি করেছেন কলমা ইউপির বংপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের কাছে। একই গ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলামের কাছে থেকে এক লাখ টাকা জামানত নিয়ে একটি দোকান ঘর ভাড়া দিয়েছেন। এদিকে জাহিদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র আলম বিল্লী হাটের সরকারী খাস জায়গা দখল করে দুটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছেন। একটিতে তিনি নিজে সার ব্যবসা করছেন অন্যটি দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এসব ঘর বেচাকেনায় মূল ভূমিকা পালন করেছে ভূমি অফিসের প্রখ্যাত দালাল বিল্লী বাজারের আব্দুল আলিম মন্ডল। তিনি ইউএনওর নামে প্রায় ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান রফিকুল ইসলাম। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, সম্পত্তি নয় তিনি এক লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দোকানের পজিশান বিক্রি করেছেন। তবে তিনি দেড় লাখ টাকা পেয়েছেন। সরকারি সম্পত্তির পজিশান তিনি বিক্রি করতে পারেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই পারি কারণ পজিশান নিতে তার অনেক খরচ হয়েছে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ্এনও) মোসাঃ নাসরিন বানু বলেন, তিনি এখানো অভিযোগ পাননি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।