মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ খসড়া আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

মোংলা প্রতিনিধি: সামরিক আমলে করা অর্ডিনেন্স পরিবর্তন ও হালনাগাদ করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ খসড়া আইন অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৯ আগস্ট) তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, চালনা বন্দর হিসেবে শুরু হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। পরে ১৯৮৭ সালে নাম পরিবর্তন করে মোংলা বন্দর হিসেবে নাম প্রতিস্থাপিত হয়। এই বন্দরের একটি অর্ডিনেন্স আছে, দ্য চালনা পোর্ট অর্ডিনেন্স ১৯৭৬। আগের যে আইন তার সঙ্গে একটু পরিবর্তন, নতুন কিছু সংযোজন এবং কিছু বাদ দিয়ে এটাকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধি এই শব্দটিও আগেই ছিল না। এটাও নিয়ে আসা হয়েছে। পরিচালনা ও প্রশাসন আগেও ছিল এবং এখনও থাকবে। এটার জন্য একটা বোর্ড থাকবে। একজন চেয়ারম্যান এবং ছয়জন সদস্য থাকবে। এই সাতজনের বোর্ডই পোর্ট অথরিটিকে পরিচালনা করবে।’ আইনে শাস্তির বিধান নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইন ও বিধির কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাহলে অপরাধ হবে এবং তার জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকার জরিমানা হবে। এছাড়া টোল পরিহারের জন্য, দূষণের জন্য দণ্ড নতুন প্রস্তাব করা হয়েছে।
দূষণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। কোনো ব্যক্তির দেশীয় জাহাজ যদি বন্দর সীমানার মধ্যে পানি, সৈকত, তীর অর্থবা ভূমিতে কোনো বর্জ্য, ছাই, তৈল বা তৈল জাতীয় পদার্থ বা অন্য কোনো কিছু নিক্ষেপ করে অথবা নিক্ষেপ করার অনুমতি প্রদান করে তা যদি পানি ও পরিবেশ দূষিত হয় এবং জলজ পানি ও উদ্ভিদের ক্ষতি হয় তাহলে সাজা এক বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অর্থবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। আগে শুধু ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।’ কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ সংগঠনের কথা বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংগঠিত হলে উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতায় কোম্পানির পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার, কর্মকর্তা-কর্মচারী উক্ত অপরাধ সংগঠন করেছে বলে গণ্য হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *