হরিরামপুরে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী (মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি) : শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তেমনি শিক্ষক হচ্ছেন মানুষ গড়ার হাতিয়ার। সেই মানুষ গড়ার হাতিয়ারদের চালচলন, চরিত্র, কথাবার্তা ও আচার আচরণ থাকবে নিস্কলুষ ও মাধুর্যমণ্ডিত সদ্ভাব। অথচ আমাদের সমাজে তথা শিক্ষক সমাজেও আছে কিছু দুশ্চরিত্রবান, মানুষ নামের কিছু অমানুষ। তাদের পৈশাচিকতায় তারা হয় ঘৃণিত। তেমনি এক দুশ্চরিত্রবান চরিত্র মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন মনি মিয়া। তার বাড়ি উপজেলার গোপিনাথপুর মজমপাড়া গ্রামে। সে মৃত আয়ুব উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। পুলিশ ও ঘটনাস্থলের এলাকাবাসী জানান, গত ৬ই আগস্ট দুপুর আনুমানিক ১২-০১টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মনির হোসেন মনি মিয়া বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার কক্ষে অন্য কাজের অজুহাতে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে ঐ ছাত্রীর ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এলে সে সব ঘটনা খুলে বলে। সাথে সাথে তারা হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াস মেহেদীকে অবহিত করালে তৎক্ষনাৎ তিনি একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং সব শুনে মনিকে আটক করে থানায় প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে ঐ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে হরিরামপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৫, তারিখ-০৬/০৮/২০১৯ইং। পুলিশ আসামী মনির হোসেন মনি মিয়াকে আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। নাম ও ছবি প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, মনির হোসেন গোপিনাথপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত অবস্থায় জনৈক এক স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন বিচার করে তাকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং থু থু চাটায়। তারপর অন্য স্কুলে অনুরূপ কার্যক্রম ঘটালে বর্তমানের ৫৭নং হারুকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটায়। আমাদের সমাজে এরূপ দুশ্চরিত্র লম্পটেরা অহরহ ঘটিয়ে যাচ্ছেন এমন লজ্জাস্কর ও গর্হিত কর্মকাণ্ড। অভিজ্ঞ মহল ও স্থানীয় জনগণ এমন সব লম্বট তথা মনির হোসেন মনি মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান।