সৈয়দপুর উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মানছেনা রাষ্ট্রের আইন, ক্ষমতার উৎস কোথায়?
মোতালেব হোসেন, নীলফামারী অফিস : সৈয়দপুর উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লায়ন নজরুল ইসলাম ওরফে নজরুল হাড্ডি দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সৈয়দপুর উপজেলায় মাইকিং করে গণশুনানীর আয়োজন করে সাধারন মানুষকে দূর্নীতি না করার বেদ বাক্য শোনালেও তিনি নিজেই দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে করে চলেছেন বিভিন্ন দূর্নীতি। তিনি লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি, উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি পুজিঁ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। এক সময় তিনি ব্যাংকের দেনার দায়ে জর্জরিত অবস্থা থেকে আজ বিলাস বহুল গাড়ি বাড়িসহ আলিশান জীবন যাপন করেন। রেলওয়ের অফিসার্স কলোনীতে রেলের জমিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করে ধীরে ধীরে তার আশে পাশের জমি দখলসহ রেলওয়ের শতবর্ষী মূল্যবান বৃক্ষ রাতের আঁধারে কেটে বিক্রয় করা ও রেলের অনুমতি ও রাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী সৈয়দপুর পৌরসভার নকশা অনুমোদন না নিয়ে স্থানীয় রেলওয়ের গডফাদারকে ম্যানেজ করে একের পর এক নির্মান করে চলেছেন বহুতল ভবন, মনে হচ্ছে তিনিই রেলের মন্ত্রী এবং সর্ব্বোচ্চ ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। ফলে তিনি রাষ্ট্রের আইন কানুন কোন কিছুই মানছেন না। নিয়ম অনুযায়ী রেলের জমি লীজ নিলে লীজ গ্রহীতা কোন প্রকার স্থায়ী অবকাঠামো নির্মান করতে পারবে না কিন্তু তিনি সেইসব আইন কানুন পকেটে পুরে রেলওয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বানিয়ে ফেলছেন এশর পর এক বহুতল ভবন। উক্ত নির্মিত ভবন থেকে এইএন সৈয়দপুরের অফিস ১০০ গজ, ডিএস সাহেবের বাসা ৫০ গজ অফিসার্স ক্লাবের দূরুত্ব ২০ গজ হলেও এসব কর্মকর্তা তার এই কর্মকান্ড চোখে দেখেন না, এমনকি ঐ রাস্তা দিয়ে রেলমন্ত্রী থেকে শুরু করে রেলওয়ের উর্দ্ধতন সকল কর্মকর্তাগণ চলাচল করলেও তাদের নজরে আসেনা। তাতে বোঝা যায় তার ক্ষমতার শিকড় অনেকদূর বিস্তৃত, ফলে তিনি নির্বিঘেœ তার কর্মকান্ড চালিয়ে যাবার সাহস পেয়েছেন।
স্কুল পরিচালনাতেও তিনি দূর্নীতিতে পারদর্শী। সেখানেও তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সেশন ফির নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ অযৌক্তিক বেতন বৃদ্ধি এবং অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে স্কুলটিকে স্কুল না বানিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেছেন। শ্রমিক শহর সৈয়দপুরে একাধীক অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা জানায় স্কুলটিতে বাচ্চাদের পড়ানোর যে খরচ তা সাধারন মানুষের পক্ষে বহন করা অত্যন্ত কঠিন বিশেষ করে বছর শেষে সেশন ফির নামে যে অর্থ আদায় করা হয় তা আমাদের উপর চরম বোঝা। এ ণিয়ে অভিভাবকগণ আন্দোলন করলেও কর্ণপাত করেননি দূর্নীতিবাজ সেই লায়ন নজরুল ইসলাম ওরফে নজরুল হাড্ডি। এভাবেই একর পর এক দূর্নীতি করেও তিনি দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উপজেলা সভাপতি!