পীরগাছায় পাঁচ বছরে এক শিশুর মাথা জখম, ছেলেধরা গুজব,
পীরগাছা প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগাছায় পাঁচ বছরের এক শিশুর মাথার পিছনে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে ছেলেধরা গুজব। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রুম্পা খাতুন(৫) ওই গ্রামের রফিক মিয়ার মেয়ে।
শিশু রুম্পা ও তার পরিবারের লোকজন জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে রুম্পা বাড়ির বাহিরে বের হয়। এসময় মুখোশ পড়া এক ব্যক্তি রুম্পার মাথার পিছনে আঘাত করে। এতে তার চিৎকারে বাড়িতে থাকা বড় বোন ঈশিতা(১২) বাড়ি থেকে বের হলে মুখোশধারী ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আহত রুম্পার মাথার পিছনে ৩টি সেলাই করানো হয় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে। শিশু রুম্পার বাবা রফিক মিয়া বলেন, আমি বাড়ির বাহিরে ছিলাম। পরিবারের লোকজনের চিৎকারে বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে রুম্পার মাথার পিছনে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। পরে পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমার মেয়ের ক্ষতি সাধনের জন্য কে বা কারা মাথায় আঘাত করেছে।
রুম্পার মামা জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ভগ্নীপতি এবং তার পরিবারের অত্যন্ত দরিদ্র । তাদের সাথে এলাকায় কারো কোন দ্বন্দ্ব নেই। আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে হচ্ছে তার বড় ধরনের ক্ষতি করার জন্য মাথার পিছনে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
রুম্পাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ননী গোপাল বলেন, রুম্পার মাথার পিছনে একাধিক স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রক্ত ক্ষরণ হওয়ায় সেলাই দিয়ে রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করা হয়। অন্যদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জখম হওয়ার খবরটি ভিন্ন ভাবে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কেউ কেউ এলাকায় ছেলেধরা বা কল্লা কাটার আবির্ভাব ঘটেছে বলে গুজব ছড়াতে শুরু করে। ঘটনার পর পরেই প্রায় ৫ শতাধিক উৎসুক জনতা রুম্পাদের বাড়িতে ও স্থানীয় শিমুলতরী বাজারে ভীড় করে। তারা ওই অজ্ঞাত যুবককে খুঁজতে দল বেঁধে সর্বত্র তল্লাশি চালায়। তবে তাকে খুঁজে পায়নি। পীরগাছা থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি গুজব হিসেবে আমরা দেখছি। গুজব না ছড়ানোর জন্য সবাইকে আহবান জানাচ্ছি। এসময় গুজবে কান না দেওয়ারও আহবান জানান তিনি।