মাননীয় “প্রধান মন্ত্রী” আপনার নিকট এক অসহায় পিতার আর্তনাদ- শিক্ষক রূপি, সন্ত্রাসী ও লম্পট রিপন ও তার সহযোগীদের হাত থেকে আমার কন্যা ও পরিবারকে বাঁচান
শেখ রবিউল ইসলাম (সিনিয়র স্টাফ রিপোটার) খুলনা: যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলা ত্রীমোহনী ইউনিয়নের বরণডালী গ্রামের জনৈক সিরাজুল ইসলাম মোল্যা এলাকার নাম করা সন্ত্রাসী, লম্পট ও বিভিন্ন আপকর্মের হোতা রোকনুজ্জামান রিপন ও তার সহযোগিদের হাত থেকে বাঁচবার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে বাঁচবার আকুতি জানিয়েছেন ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জনৈক সিরাজুল ইসলাম মোল্ল্যা বরণডালী গ্রামের একজন সাধারণ মিল ব্যবসায়ী। তাহার কন্যা মোছাঃ বিলকিস আরা বৃষ্টি (১৪) একজন এস,এস,সি পরীক্ষার্থী স্থানীয় বরণডালী (১৪) বরনডালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির অধ্যায়নরত সামনে এস,এস,সি পরীক্ষার জন্য প্রাইভেট শিক্ষক খুজতে থাকে। অপর দিকে একই গ্রামের রবিউল ইসলাম সরদার পুত্র রোকনুজ্জাামন রিপন প্রাইভেট টিউশিনি করে জানতে পেরে তাহার কন্যা বৃষ্টিকে বাড়ীতে পড়ানোর কথা বলে, সুচতুর রিপন তাহার কন্যাকে পড়াইতে বলিয়া বিগত ২ মাস (জানুয়ারী ও ফেব্রুয়ারী) মাস পড়াইতে থাকে। প্রাইভেট পড়াইতে যাইয়া ছাত্রী বৃষ্টিকে বিভিন্ন ধরনের অসলগ্ন কথা বলিতে থাকলে বৃষ্টি রিপনের নিকট আর পড়িবে না বলিয়া জানা, তখন রিপনকে পড়াইতে নিশেধ করিয়া দেয় বৃষ্টির পিতা- পড়াইতে নিষেধ করিবার পর হইতে বিভিন্ন সময় বৃষ্টিকে একা পাইয়া তাহাকে বিভিন্ন ধরণের কু-প্রস্তাব সহ তাহার ঘাড়ে হাত দেয় হঠাৎ করিয়া স্কুলে আসার পথে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা শিক্ষক রূপি লম্পট রিপন তার অপর সহযোগিদের লইয়া স্কুলের পার্শ্ববর্তী ফাকা যায়গায় পথ রোধ করিয়া বৃষ্টিকে জড়াইয়া ধরে এবং সহযোগিদের বলে ছবি তুলতে। পরবর্তীতে বৃষ্টির চিৎকারে আসে পাসের লোকজন ছুটিয়া আসিলে ঘটনা স্থল থেকে সহযোগি সহ রিপন পালাইয়া যায়। উক্ত ঘটনা বৃষ্টি তাহার পিতাকে জানাইলে বৃষ্টির পিতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপংকর দাসকে বিষয়টি অবিহিত করেন এবং উক্ত ঘটনার বিষয়ে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন যাহা নং ৪৮৭ তাং-১৩/০৫/১৯ ইং। পরবর্তীতে জি.ডি করিবার ঘটনা জানাজানি হইলে শিক্ষক রূপি লম্পট রিপন তাহার কন্যাকে জীবনে শেষ করিয়া দেবে এবং তাহাকেও দেখিয়া লইবে বলিয়া মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের ম্যাজেজ পাঠাইতে থাকে, বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে জানাইলে সে আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত জানাইতে বলে। উপায়ন্ত না পাইয়া আবারও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দারস্থ হন। তাতেও কোন সমাধান না পাইয়া নিরূপায় হইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট লিখিত ভাবে দরখাস্ত প্রদান করি। যাহার রিসিপ কপি বৃষ্টির পিতার নিকট রহিয়াছে বলিয়া জানা যায়। একটি বিষয় শুনিয়া হতভাগ হই যে, একজন নির্যাতিত ব্যক্তি ন্যায় বিচার পাইবার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিলে সেই আবেদন পরবর্তীতে সংরক্ষিত দপ্তর সমূহে সংরক্ষণ করে না, বলিয়া জানা যায়। একজন নির্যাতিত ব্যক্তি ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইতেছে। সরোজমিনে জানা যায় জনৈক সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কেশবপুর উপজেলার, ত্রিমোহনী ইউনিয়নের বরণডালীর গ্রামের সৎ ব্যক্তি তিনি ধান চাউলের ব্যবসা করিয়া কোন প্রকার জীবিকা নির্বাহ করে এবং তাহার কন্যাকে লেখাপড়া করাইবার জন্য স্থানীয় বরণডালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভর্তি করিয়াছে এবং উক্ত স্কুলের বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রীর নিকট জানা যায় বৃষ্টি একজন মেধাবী ছাত্রী। ক্লাসে তার রোল নং-৭ এমতাবস্থায় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিকট জানা যায় যে, উল্লেখিত শিক্ষক রূপি লম্পট রিপন এলাকায় ইতিপূর্বে বিভিন্ন ছাত্রীদের সহিত অসৎ আচরণের দায়ে বিচারের সম্মুখিন হইয়াছে। এই প্রসঙ্গে বৃষ্টির পিতার নিকট জানিতে চাইলে তিনি জানান তাহার মেয়েকে পড়ানোর আগে। তাহার সম্পর্কে কিছু জানিত না। একজন লম্পট সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আবেদনকারী আবেদন করিয়াও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হইয়াছে। বৃষ্টির পিতার আসংখ্যা উক্ত লম্পট রিপন ও তার সহযোগি যে কোন মুহূর্তে তাহার কন্যার ও তাহার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে বলিয়া যানা যায়।
এখন প্রশ্ন হল আদৌকি স্কুল ছাত্রী বৃষ্টি শিক্ষক রূপি লম্পট রিপন ও তার অপারপর সহযোগিদের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না কি ? নুসরাতে মত জীবন দিতে হবে।