কপোতক্ষ নদী গর্ভে শত বছরে বাজারটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেখার কেউ নেই
মোঃ মানছুর রহমান জাহিদ,সহঃ ব্যুরো চীফ: খুলনা জেলার পাইকগাছা জেলাধীন ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের আগড়ঘাটা বাজারটি খুলনা থেকে পাইকগাছা, কয়রা, সাতক্ষীরা যাওয়ার প্রধান সড়ক সংলগ্ন। উক্ত বাজারটি দীর্ঘ ৬০/৭০বছর ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে। কি›তু দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে ভাঙ্গনে বাজারটি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কাচা বাজার,মাছ বাজার, মসজিদ ও একমাত্র জেলা সদর ছাড়াও বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি আজ ভাঙ্গনের কড়াল গ্রাসে নিমাজ্জিত হতে চলছে। দেখার কেউ নেই ? উল্লেখিত বাজারের অনেক পুরাতন ব্যবসায়ী বৃন্দ তাদের নির্মানকৃত দোকানঘর প্রতিষ্ঠান রাতারাতি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতশত ব্যবসায়ী গন সরকারের সহযোগিতা তো দূরের কথা কেউ ফিরেও দেখেনি, সহমর্মিতাও পায়নি, এই বহু বছরের পুরাতন বাজারটি ব্যবসায়ীদের প্রতি। যতবার এই বিষয়ে সংশিলিষ্ট কতৃপক্ষকে জানিয়ে মিথ্যা আশ্বাস পেয়েছে, বহুবার মূলত কার্য্যকরি কোন পদক্ষেপ নেয়নি সরকারগণ। এই বাজারের একজন পুরাতন পান ব্যবসায়ী কার্ত্তিক চন্দ্র বিশ্বাস ৭১ সনের স্বাধীনতা যুদ্ধে খান সেনারা এই বাজারটিতে ক্যাম্পভ। তৈরি করেও মুক্তি বাহিনীদের অক্লান্ত চেষ্টায় বাজার থেকে পাকিস্তানি হানাদারদের ক্যাম্প সরিয়ে নিতে বাধ্য করে ছিলো। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চেষ্টায় চুল পরিমান ক্ষতি হয়নি অথচ দেশে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ক্ষমতায় থেকে, সবখানে শুনেছি উন্নয়ন করেছে, কই এই আগড়ঘাটা বাজারটির কোন উন্নতির ছোয়াও মেলেনি। কপোত্তক্ষ নদীর কড়াল গ্রামে ভাঙ্গনে শতশত পরিবার সহ বহু ব্যবসায়ী বৃন্দ আজ কোন প্রকারে জীবিকা নির্বাহ করছে। সবচেয়ে বড় ভয়, যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে হয়তো আর কিছু দিন পরে জেলা সদরের সাথে যোগযোগই বিছিন্ন হয়ে যাবে। দেশের সরকার সহ সকল ব্যক্তিদের আমাদের বাজার রক্ষার্থে ভাঙ্গনটির সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ রেখেছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সব খানে উন্নয়নের ছোয়া লেগেছে, শুধু এই বাজারটিতে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তাই আশু প্রশাসনে হন্তক্ষেপ কামনা করেছে, উক্ত বাজার কমিটির সকল সদস্য সহ ক্ষতিগ্রস্ত ।
চলবে