সুন্দরবনের খালে দুই মাস মাছ ধরা নিষিদ্ধ ৫০হাজার জেলে চরম উৎকন্ঠায়
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: বাগেরহাট:প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবনের চার শতাধিক খালেবিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ সব প্রজাতির জলজ প্রাণী ও সম্পদ রক্ষায় আজ ১ জুলাই থেকে দুই মাস৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এতে চরম উৎকন্ঠায় পড়েছে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল ৫০হাজার জেলেসহ উপকুলীয় এলাকার জেলে পরিবারের মধ্যে নেই কোনো আনন্দ। পুরো জেলে পল্লীতে কেবলই হতাশা। বনের সব নদী-খালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে ৪ শতাধিক ছোট-বড় খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ, মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও বনের ডলফিন অভয়ারণ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের জল ভাগে রয়েছে ১৩টি বড় নদ-নদীসহ ৪৫০টির মতো খাল। জোয়ারে প্লাবিত হওয়া এ বনের নদী-খাল ভেটকি, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাঙাশ, রুপালি ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছের অন্যতম উৎস। এ ছাড়া রয়েছে গলদা, বাগদা, চাকা, চালি ও চামিসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ি। বিশ^খ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়ার প্রজনন হয়ে থাকে এ বনের নদী-খালে। রয়েছে ৪৩ প্রজাতির মালাসকা ও ১ প্রজাতির লবস্টার। এ ছাড়া রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন। বনের এ জলসীমায় রয়েছে ইরাবতী ডলফিনের অবাধ বিচরণ। জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে এই ডলফিনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সুন্দরবনের কাঠ (জ্বালানি) সংগ্রহের জন্য বাওয়ালিরা নির্দিষ্ট রাজস্ব দিয়ে পাস-পারমিট নিয়ে ঢোকে। আবার কেউ অবৈধভাবে বনে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে অনেকে সুন্দরবনের মৎস্য ও মৎস্য প্রজাতির সম্পদ আহরণ করে থাকে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও মৎস্যসম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বনবিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সব রেঞ্জ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে