নীলফামারীতে হোটেলের কর্মচারী সেজে হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামীকে আটক করেছে পুলিশ
এম.আর.রাজু, নীলফামারী: নীলফামারীতে হোটেল কর্মচারীর কাজ নিয়ে ৪ দিনের মাথায় নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল হত্যা মামলার দুই প্রধান আসামীকে আটক করেছে নীলফামারী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের বিশমুড়ি চাদের হাট এলাকার মৃত: অফদ্দি মামুদের ছেলে মো: মহির উদ্দিন ওরফে কালা মহির (৫৭) এবং তার ছেলে ইদ্রিস আলী (২২)। জানা যায়, গত ২০ মে ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ এলাকার মৃত সুলতান আলীর ছেলে নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল স্থানীয় অঙ্কুর বীজ হিমাগার একটি হোটেলে নির্মাণ কাজ করার সময় বিশমুড়ি এলাকার অভিযুক্ত ইদ্রিস, লুক্কা, নুরুজ্জামান ও কালা মহির নির্মাণ শ্রমিক জুয়েলকে জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে আধুনিক সদর হাসপাতালে নিলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জুয়েলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিক জুয়েল মারা যায়। এ ঘটনায় মৃত ব্যক্তি পরিবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এদিকে, জুয়েল হত্যার আসামী গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্ত মুল শাস্তির দাবী করে জেলা নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন শহরের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ সহ মানববন্ধন করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কারী কর্মকর্তা নীলফামারী থানার এস.আই নাজমুদা হুদা জানান “মামলাটি রুজু হওয়ার পর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাহেব মামলাটির তদন্তভার আমাকে দেন। আমি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে মামলার অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে গুপ্তচর নিয়োগ করি এবং গুপ্তচরদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই এলাকায় আমিসহ সাথে নীলফামারী থানার ফোর্স মো: জিয়াউর রহমান ওই এলাকায় যাই এবং ওই এলাকার একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করি। ওই হোটেলে কর্মচারী হিসেবে কাজ করার ৪ দিনের মাথায় গুপ্তচরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আসামীদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করি।
নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।