সাপাহারে আমবাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়! চলাচলে চরম ভোগান্তি
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে আমবাজারে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। আমের ক্রেতাদের ভিড়ে পথচারীদের চলাচলে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। আমের রাজা আ¤্রপলী বাজারে উঠতে আরো কিছুদিন দেরি আছে এর আগে বাজারে এখন গোপালভোগ, খিরশাপাতি, হিমসাগর ও নেংড়া আম উঠেছে। এখনই আমের বাজারে ভিড়ের কারণে দু-এক ঘন্টা করে বাজারের মেইন রাস্তা জ্যামে বন্ধ থাকছে। রুপালী আম উঠলে হয়ত সারা দিন রাস্তায় চলা মুশকিল হয়ে পড়বে বলে বাজার এলাকার লোকজন মনে করছেন। ইতোমধ্যে সাপাহার উপজেলা সদরের মেইন রাস্তার দু-পার্শ্বে জয়পুর থেকে গোডাউনপাড়া পর্যন্ত দেড় থেকে দুই কিলোমিটার এলাকা কয়েক শত আমের আড়ত ঘরে ভরে গেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সুদূর চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে শত শত আম ব্যবসায়ী সাপাহারে এসে আমের আড়ত খুলে বসেছে। তারা প্রতিদিন হাজার হাজার মন আম কেনা বেচা করছেন এসব আড়তে। বর্তমানে বাজারে যে পরিমান আম কেনা বেচা হচ্ছে রুপালী আম বাজারে নামলে এর চিত্র অনেকটাই পাল্টে যাবে বলে আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শ্রী কার্তিক সাহা জানিয়েছেন। উপজেলার কৃষকরা এবারে ধানের আবাদে মূল্য বিভ্রাটে কিছুটা হিমশিম খেলেও আমের বাজার ভাল থাকায় ধানের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুশিয়ে নিতে পারবে বলে একাধীক আমবাগান মালিক জানিয়েছেন। এ বিষয়ে উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাগান মালিক আজগর হোসেন, ফিরুজ কবির, ফুটকইল গ্রামের বাগান মালিক আব্দুস সালাম সহ উপজেলার বেশ কিছু বাগান মালিকরা জানান, এবারে ধান চাষ করে উপজেলার অনেকেই নি:স্ব হলেও তাদের প্রায় সকলের কিছু কিছু আমবাগান থাকায় ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন আমে। বর্তমানে আমের বাজার দর অনেকটাই আমচাষীদের অনুকুলে। বাজারে এখন প্রতিমন নেংড়া আম বিক্রি হচ্ছে ১৬ শত থেকে ২ হাজার টাকা দরে। খিরশাপাত, গোপালভোগ ও হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে। বর্তমান আমের বাজার হিসেবে রুপালী আম ৩ হাজার টাকার ওপরে থাকবে বলে বাগান মালিক ও আম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের হিসেবে এবারে সাপাহারে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়েছে। তাদের মতে প্রতি হেক্টর জমিতে ১৭ মে: টন আম উৎপাদন হয়েছে। সে হিসেবে গোটা সাপাহারে এবার ৮০ থেকে ৯০ হাজার মে: টন আমের উৎপাদন হবে। যার মূল্য প্রায় ৩০কোটি টাকা। বর্তমানে বাজারে প্রতিদিন গড়ে কয়েক হাজার মে: টন আম কেনা বেচা হচ্ছে বলে আম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।