শেরপুরের নকলায় গৃহবধুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
হারুনূর রশীদ, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নকলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ডলি খানম (২২) নামে এক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধুকে গাছে বেঁধে নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ঘটনা ঘটেছে। গত ১০ জুন সোমবার রাতে ওই ঘটনার ভিডিও চিত্র ফাঁস হওয়ায় এলাকায় শুরু হয়েছে তোলপাড়। ডলি খানম নকলা পৌর শহরের কায়দা এলাকার শফিউল্লাহ্র স্ত্রী। জানা যায়, নকলা পৌর শহরের উপকন্ঠে কায়দা গ্রামের মৃত হাতেম আলীর পুত্র শফিউল্লাহ্র সাথে জমি নিয়ে তার সহোদর বড়ভাই আবু সালেহ্, নেছার উদ্দিন ও সলিম উল্লাহ্র বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১০ মে সকালে শফিউল্লাহ্র লাগানো ইরি ধান আবু সালেহ্ লোকজন নিয়ে কাটতে যায়। এসময় শফিউল্লাহ্ বাধা দিতে গিয়ে প্রতিপক্ষের ধাওয়ার মুখে পিছু হটে নকলা থানায় ছুটে যান। সেই সুযোগে আবু সালেহ্র লোকজন ধান কাটতে শুরু করলে শফিউল্লাহ্র ৩ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী ডলি খানম বাধা দিতে গেলে সালেহ্র হুকুমে তার ছোটভাই ছলিম উল্লাহ্, ভাইবউ লাকি আক্তারসহ অন্যান্যরা তাকে ঘেরাও করে ফেলে। এক পর্যায়ে ডলির চোখে মুখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে তাকে টানা হেছড়া করে পাশের ক্ষেতের আইলে থাকা গাছের সাথে হাত-পা বেধে নির্যাতন করে। পরে নকলা থানা পুলিশ গিয়ে গুরুতর অবস্থায় ডলি খানমকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ৭ দিনের চিকিৎসায় তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা নীরিক্ষার পর জানা যায় নির্যাতনের ফলে ডলি খানমের গর্ভপাত হয়েছে। এই ঘটনায় শফিউল্লাহ্ বাদী হয়ে ৩জুন শেরপুর আমলী আদালতে মামলা করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম খান ভিকটিমের এমসি তলব স্বাপেক্ষে ঘটনার তদন্ত করে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য জামালপুরের পিবিআই এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।