ইটনায় চাই বানিয়ে স্বাবলম্বী ব্যবসায়ীরা।
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) থেকে সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জ জেলারইটনা উপজেলায় বর্ষার শুরুতেই চাই বানিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে কয়েকশত ব্যবসায়ী। ইটনা সদর হাজারীকান্দার মোঃ কাউছার চাই বানিয়ে বিক্রয় করে আজ স্বাবলম্বী। বর্ষা মৌসুমে চিংড়ি মাছ হাওড় থেকে ধরার জন্য প্লাস্টিকের সুতা, ছেলা, বাঁশের ফালি করে চিংড়ি মাছ ধরার জন্য যে ফাঁদ তৈরি করে পানির নিচে রাখা হয় আঞ্চলিক ভাষায় তা চাই নামে পরিচিত। কাউছার জানায় বিগত আট বছর ধরে চাই বানানোর কাজে সে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছে। চাই সারা বছরই ঘরে বসে তৈরি করা যায়। এ কাজে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সহযোগিতায় করতে পারে। তিনি বলেন- এবছর প্রায় ৮শতর তো চাই তৈরি করে বিক্রয় করেছি। প্রতি ১শত চাই তৈরি করতেখরচ পড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা। আর তা বিক্রয় হয় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা। সে হিসাবে বছর শেষে লাভের খাতায় যোগ হয় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। আমার মতো এমন প্রায় ৩ থেকে ৫ শত পরিবার হাজারীকান্দা,নয়া হাজারী, দক্ষিণ দাস পাড়া, পশ্চিম দাস পাড়া, ইমান পাড়ার লোকজন নিয়োজিত আছে। এক সময় তারা নিজেরা চাই বানিয়ে চিংড়ি মাছ ধরলেও এখন চাই বানানোর কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছে। আর এই সব চাই সুনামগঞ্জের খালিয়াজুরী, শাল্লা, নেত্রকোণার মদন, উপজেলা সহ অন্যন্য উপজেলা ও বিভিন্ন গ্রামের লোকজন বর্ষা শুরু হওয়ার সাথে সাথে চিংড়ি মাছ ধরার জন্য বাড়ী থেকেই নিয়ে যায়। হাওড় থেকে চিংড়ি মাছ ধরার জন্য চাই বানানোর এই খাতে সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা হলে আরোও অল্প খরচে তা চিংড়ি শিকারীদের দেওয়া যেত। কারণ অনেক সময় চাই তৈরি করতে যে মূল ধনের প্রয়োজন হয় তা মেটাতে মহাজনি ঋণের দিকে দাবিত হতে হয়। ছেলা, বাঁশ, সুতা বাকীতে আনতে হলে চাই বানানোতে খরচ একটু বেশি পড়ে যায় বিধায় চাই বানানোর কাজে যারা জড়িত তাদেরকে সরকারিভাবে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে দাবি রাখে এলাকার সচেতন মহল।