ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছে মানুষ

অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: ঈদের ছুটিটা যেন চোখের পলকে শেষ হয়ে যায়। চলে আসার আগে মা ছেলেকে বলেন- ‘আরও একটা দিন থেকে যা না বাবা’, বাবা পুত্রকে বলেন- ‘আরেকটা দিন থেকে গেলে কি সমস্যা হবে?’ কিন্তু কর্মব্যস্ত জীবনে পরিবার আর স্বজনদের শত মায়া কাটিয়ে হলেও আবারও ফিরতে হয় কোলাহলপূর্ণ ঢাকায়। প্রায় দুই কোটি মানুষের ঢাকা মহানগরী এখনও বেশ ফাঁকা। শনিবার থেকে বিভিন্ন অফিস-আদালতে টুকটাক কর্মচাঞ্চল্য শুরু হবে। তবে যানজটমুক্ত এই অচেনা ঢাকায় ঈদের ছুটি কাটিয়ে ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে নগরবাসী। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, সদরঘাটে ক্রমেই চাপ বাড়ছে। তবে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়া লোকজন ফিরছে ধীরে ধীরে। তবে এক সপ্তাহের আগে স্বাভাবিক চাঞ্চল্য ফিরবে না রাজধানী এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। শুক্রবার সকাল থেকে সদরঘাটে তেমন চাপ দেখা যায়নি। টুকটাক ভিড়ছে লঞ্চ। যারা আসছেন তারা সদরঘাটে নেমেই নিজ নিজ বাসায় ফিরছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার যথারীতি ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে ও পৌঁছুচ্ছে। অনেকেই ছুটির দিন শুক্রবার বলে একটু আগেভাগেই ঢাকায় চলে আসছেন। ঢাকামুখী প্রতিটি ট্রেনই ফিরেছে মোটামুটি যাত্রী নিয়ে। এদিকে ঈদ উপলক্ষে যত দিন যাত্রীর চাপ থাকবে তত দিন পর্যন্ত ট্রেনের বিশেষ সেবা চলবে বলে জানিয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষকে নিরাপদে যেভাবে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি সেভাবেই নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার সব প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদের আগে যেসব বিশেষ ট্রেন চলাচল করেছে, সেগুলো এখনো চলছে।’ শিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই ট্রেনগুলো যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪টি রুটে ৯০-৯৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদের আগে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হলেও ফিরতি যাত্রায় এখনও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না অনেককে। অনেকটা আরামেই ঢাকা ফিরছেন ঈদযাত্রীর। বাস টার্মিনালগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, যাওয়ার সময় অগ্রিম টিকিট ও শিডিউল বিপর্যয়ের নানা ঝামেলা থাকলেও রীতিমতো আরামে ঢাকায় ফিরছে কর্মমুখী মানুষ। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরতে টাঙ্গাইল থেকে গাজীপুর পর্যন্ত কিছুটা বেগ পোহাতে হয়েছে ঢাকামুখী মানুষকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *