দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে প্রেমের অভিনয়ে প্রতারনার মাধ্যমে যুবতী বিক্রি প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা
শেখ মোঃ বিল্লাল হোসেন, রাজবাড়ী: রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার দৌলদিয়া পতিতা পল্লীতে প্রেমের অভিনয়ে প্রতারনার মাধ্যমে দেহ ব্যবসায় বাধ্য হয়ে প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভূক্তভোগী। মামলায় অভিযোগে প্রকাশ, হবিগঞ্জ জেলার আজমেরী গঞ্জ থানার বদলপুর গ্রামের রনজিৎ কুমারের পুত্র প্রসেনজিৎ (৪৫) সবুজ নামে নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে মোছাঃ মাহমুদা ওরফে জবা (৩০) এর সাথে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। মোবাইলে প্রেমের সুবাদে ১ বছর পূর্বে প্রসেনজিৎ ওরফে সবুজ দৌলতদিয়া ঘাটে একটি বোর্ডিং এ নিয়ে এসে বিবাহের কথা বলে ৩০০/- টাকার নন-জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ও একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে বলে তাদের বিবাহ হয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে জবা জানতে পারে তাকে দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীতে বিক্রি করা হয়েছে। লোক লজ্জার ভয়ে সে আর এ কথা কাউকে জানাতে পারে নাই। এরপর উক্ত প্রসেনজিৎ দৌলতদিয়া পতিতালয়ে একটি ঘর ভাড় করে জবাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করায় এবং জবার বর্তমান ঠিকানা এসে জবার আয় উপার্যনের টাকা পয়সা নিয়ে যায়। গত ৩০ এপ্রিল রোজ মঙ্গলবার অনুমান বিকাল ৫ ঘটিকায় জবার বাড়ীতে এসে টাকা চাইলে জবা দিতে অস্বীকার করিলে ওড়না দিয়ে গলা পেচাইয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর উপক্রম হইরৈ কোন রকমে তার গলা হইতে ওড়না সরাইয়া চিৎকার করিলে আশে পাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে সবুজ জবার গলায় থাকা ১ ভরি স্বর্নের চেইন ছিনাইয়া নিয়া পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ২নং আমলী আদালতে ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩০৭/৩৮০/৩৮৪/৫০৬ (।।) দঃ বিঃ ধারায় মামল দায়ের করা হয়েছে। উক্ত জবাকে সবুজ বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে ফলে জবা সব সময় আতঙ্কের মাধ্যমে জীবন যাপন করছে। জবা প্রকাশ করে যে, যে কোন সময় উক্ত সবুজ তাকে জীবন নাশ করতে পারে এ ব্যাপারে সে আইনের আশ্রয় চেয়েছে।