ঝিনাইদহে আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে অসহায় ৬ টি পরিবার
সাইফুল ইসলাম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঘটনা টা ঘটেছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাগান্না গ্রামে। ভুক্তভোগীদের বিবরণ থেকে জানা যায় যে প্রায় এক বছর আগে সাগান্না গ্রামের ওহাব খাঁর ছেলে আমিরুল ইসলাম খান একটি গ্রামের শেখ আইয়ুব আলীর ছেলে মাসুম বিল্লাহ, শুকুর আলীর ছেলে মোহাম্মাদ আলী, মোসলেম মণ্ডলের ছেলে আসলাম, সাবের মণ্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর আর আফাঙ্গির ও নয়ন মণ্ডলের ছেলে আমির কে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তাদের সাথে চুক্তি হয় জন প্রতি ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে। প্রবাসে যাওয়ার স্বপ্ন ফিরে আসবে পরিবারের সচ্ছলতা এই কথা ভেবে রাজি হয়ে যায় তাদের পরিবার। একে একে ২৪ লক্ষ টাকা তুলে দেয় আমিরুলের হাতে। বাড়ি থেকে ৬ জন বিদায় বিয়ে চলে যায় মালায়েশিয়া। প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হয়ে যায় খবর আসে আজও তারা কাজ পায়নি। তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয় গেছে এখন তাদের এক গভীর দুর্গম জংগলে রেখে এসেছে। সেখানে সাপ, কেল্লো, বিষাক্ত বেঙ, বিচ্ছু সহ বন্য জীব জন্তুতে পরিপূর্ণ। তারা সেখানে কখনো খেয়ে না খেয়ে জীবন নিয়ে কোন প্রকারে বেঁচে আছে। শহরে গেলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে জেলে দিবে। খবর পেয়ে বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। গ্রামের সকলে ছুটে যায় আমিরুলের কাছে আমিরুল তাদের বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়। গ্রামের প্রভাব শালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। মাসুম বিল্লার স্ত্রী রাশিদা জানায় তার স্বামীকে জুস কারখানার চাকুরির কথা বলে নিয়ে গেছে। তাকে সেই কাজ দেয়নি বনে জংগলে ঘুরে বেরাচ্ছে। তার যাওয়ার সময় আমিরুলের পরামর্ষে এনজিও থেকে লোন নিয়েছিলাম। তারা প্রতি সপ্তাহে আসে কিস্তির টাকার জন্য আমি তাদের কিস্তি দিতে পারি না তাই আমাকে পলিয়ে থাকতে হয়। এখন আমি কি করব? মোহাম্মাদ আলীর মা রেশমা বেগম বলে যে আমিরুল হলে যে লোন বেশী করে নেও মালায়েশিয়া গেলে তাদের টাকা পরিশোধ
করতে সময় লাগবে না। আমাকেউ কিস্তির টাকার জন্য পলিয়ে থাকতে হয়। একদিকে ছেলে মেয়ে অন্য দিকে কিস্তির টাকা। পরিবার পরিজন নিয়ে আমারা পথে বসতে যাচ্ছি । কথা ছিল মার্কেট পরিষ্কারের কাজ করবে। এখন শুনছি টুরিস্ট ভিসায় নিয়ে গেছে। একই অবস্থা আরও ৪ টি পরিবারের। ঝিনাইদহ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক সবিতা রানী বলে যে তারা যে এজেন্সির মাধ্যেমে গিয়েছে সেই এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। তাছাড়া আদম ব্যাপারীর ব্যাপারে আমরা কিছুই করতে পারব না।