সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য খাতের ১৮ কোটি টাকা লোপাটের বিভাগীয় তদন্ত শুরু
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান উন্নয়নে যন্ত্রাংশ ক্রয়ের নামে ১৮ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় ডেপুটি ডাইরেক্টর ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য মঞ্জুরুল মুরশিদ ও জাহাতাপ হোসেন এই তদন্ত কার্য সম্পন্ন করেন। এসময় তদন্ত তদারকি করতে আসেন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা: রাশেদা সুলতানা। ডা. রাশেদা সুলতানা এ সময় জানান, প্রাথমিকভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ কাগজপত্র দেখে ও সার্ভে বোর্ডের লিখিত বক্তব্য নিয়ে অনিয়মের বিষয়টি সত্য বলে মনে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোন সিভিল সার্জন তার চেয়ারে বসে স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ বুঝে না নিয়েই বিল পরিশোধ করেছেন এবং সেটি সৎ উদ্দেশ্যে করেছেন তা প্রমাণিত হয়না। যদিও তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ এসব মন্তব্য করা সঠিক হবেনা। তবে, প্রাথমিকভাবে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন উক্ত মালামাল গ্রহণ ও বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোন প্রকার নিয়মকানুন মানা হয়নি। তিনি বলেন, গত ২৪ এপ্রিল সাতক্ষীরার নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ সিভিল সার্জন অফিস ঘেরাও করার পর বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পরদিন ২৫ এপ্রিল তিনি একটি তদন্ত টিম গঠন করে দেন। ঘূর্ণিঝড় ফণীসহ নানা কারনে ব্যস্ততা থাকায় আজ তদন্ত টিম আনুষ্ঠানকিভাবে কাজ শুরু করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৫দিনের মধ্যে জমা দেয়া হবে বলে তিনি আরো জানান। একই সাথে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে গুরুতর অনিয়ম এবং অন্যান্য সমস্যা নিরসনে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি এ সময় প্রতিশ্রুতি দেন। উল্লেখ্য ঃ গত ১৭-১৮ অর্থ বছরে জেলায় স্বাস্থ্য যন্ত্রাংশ ক্রয়ের জন্য তৎকালিন সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ও স্টোরকিপার একেএম ফজলুল হকের যোগসাজসে বরাদ্দের ১৩ কোটি টাকার পুরোটাই লোপাট করা হয়। পরে একই টেন্ডারের আওতায় আবারো বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১৮ কোটি টাকা গায়েব করলে গত ৯ এপ্রিল ঢাকা থেকে উপসচিব হাছান মাহমুদ আকস্মিক সাতক্ষীরায় এসে এসব যন্ত্রাংশের খোঁজ নিলে তা দেখাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।