ঝিনাইদহে ঘূর্নিঝড় ফণীর প্রভাবে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি
সাইফুল ইসলাম,ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ঘুর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাকা ও আধাপাকা ধান ঝড়ের কারণে মাটিতে পড়ে যাওয়ায় ধানের ফলন ও ধান কাটতে শ্রমিকের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকগণ তাই উদ্বিগ্ন। জানা গেছে, এবার চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ঝিনাইদহে উপজেলায় বেশ জমিতে ইরি ধান রোপন করা হয়েছে। গত আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে ক্ষতির মধ্যে ছিলেন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার ইরি-বোরো ধান বেশি করে রোপন করেছিলেন তারা। কৃষকগণ বাশমতি,সুবললতা,আঠাশ,মিনি এবং হাইব্রিডের মধ্যে ধানী গোল্ড, হিরা জাতের ধান চাষ করা করেছেন। কৃষক শুরু থেকে সঠিকভাবে বীজতলায় চারা গজানো ও ক্ষেতে চারা রোপন করে। পরবর্তীতে ধান গাছের পরিচর্যা ও সঠিক সার কীটনাশক প্রয়োগ ও পানি সেচ দিয়েছে। শুক্রবার ও শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঝড় ও বৃষ্টিতে এলাকায় গাছ পালা, বাড়িঘরের টিনের ছাউনি উড়ে যায়। শেষ মূর্হুতে ধান ঘরে তোলার আগে ঘূর্ণিঝড় ফণির আঘাতে মাঠের অধিকাংশ ধান মাটিতে ও পানির নিচে শুয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মধুহাটি গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দীন বলেন, ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ার ফলন কিছুটা কম হবে। তাছাড়া জমির পানি ২/১ দিনের মধ্যে বের না হলে অনেক ধান পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একই উপজেলার সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আঃ মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগে ধান কাটতে কামলা প্রতি ৫০০-৫৫০ টাকা নিতো। এখন ধানগাছ মাটিতে ও পানির নিচে পড়ে যাওয়ায় কামলা প্রতি ৫৫০-৬৫০ টাকা করে হতে পারে।