ঝিনাইদহে সামন্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা মসজিদের সামনে হাঁটু পানি ত্রিমহনী-বাজার গোপালপুর সড়কটি যেন মরন ফাঁদ দেখার কেউ নেই
সাইফুল ইসলাম, ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা ত্রিমহনী থেকে বাজার গোপালপুর যাওয়ার প্রধান সড়কটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,ফেসবুকও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকবার লেখা-লেখি হলেও এর কোন প্রতিকার পাইনি ভুক্তভোগিরা। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের ও সৃষ্টি হয়েছে। ত্রিমহনী-বাজার গোপালপুর সড়কের প্রাণ কেন্দ্রের এ রাস্তাটির সাথে জড়িয়ে আছে কয়েকটি বিভিন্ন অফিস- ব্যাংক, বীমা,শিল্প কলকারখানা,আঃ রউফ ডিগ্রী কলেজসহ কয়েকটি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সেন্টার। এবার চৈত্র ও বৈশাখ মাসেই যে,থেমে থেমে বৃষ্টি,ঝড়ও শিলাসহ ঘূর্নিঝড় ফণী হয়াতেই রাস্তাটিতে ব্যাপক ভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন মহলসহ পথচারীদের অনেককেই বলতে শোনা গেছে চৈত্র ও বৈশাখ মাসেই এ অবস্থা বর্ষা এলে হবে কি? বলাচলে প্রতিদিনেই এ রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। অতিস্বত্তর রাস্তাটির সংস্কারের দাবী করছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে ত্রিমহনীর বড় চাউল ব্যবসায়ী কামাল ও আফছার উদ্দীন জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারীসহ স্কুল-কলেজের কমলমতী শিক্ষার্থীরা চলাচল করে,কিন্তু এই সড়কটি এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে সুতারং সুশীলসমাজ,কমলমতী শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে বলবো এই সড়কটি যাতে খুব দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে দেয় সেজন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নেক দৃষ্টি কামনা করছি। এ দিকে একই উপজেলার ৩ নং সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুরিয়া গ্রামের পূর্বপাড়া জামে মসজিদের সামনের রাস্তা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে হাঁটু পানিতে পরিনিত হওয়াতে ইমামসহ মুসল্লিগন মসজিদে ইবাদত করতে যেতে পারছে না। আর এর জন্য দ্বীনদার মুসল্লিগনসহ মহল্লার জনগন দায়ী করছেন (মসজিদ)রাস্তার দু পাশে যারা বসবাস করছেন তাদেরকে। জানা গেছে,আজ শনিবার এলাকার যুবকদের পক্ষ থেকে কয়েক জন যুবক রাস্তা থেকে পানি নাষ্কাশনের জন্য গেলে হুমকি দিয়ে সরিয়ে দেন রাস্তার দুই পাশে বসবাসরতরা। এখানে সামান্য বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অত্র মসজিদের ইমাম,দ্বীনদার মুসল্লিগন ও স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষকে। সড়কটি যাতে খুব দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে দেয় সেজন্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নেক দৃষ্টি কামনা করছে গ্রামবাসী।