চার নম্বর সর্তক সংকেত জারি ঘূর্ণিঝড়‘ফণী’ মোকাবেলায় বাগেরহাটে ২৩৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত,ছুটি বাতিল

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:বাগেরহাট:ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় বাগেরহাটের ২৩৪ টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বুধবার (০১ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় করা জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক সরদার মাসুদসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় একটি করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং ১০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিলসহ রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার দূরুল হুদা বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় সর্বত্বক প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর জেটি ও আউটার অ্যাংকরেজে অবস্থানরত জাহাজগুলো নিরাপদে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত ৫ নম্বরে উঠলেই বন্দরের পণ্য বোঝাই ও খালাসের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। জাহাজগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে করমজল ও হারবাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদের সরিয়ে আনা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *