জীবননগরে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে অস্ত্র-গুলিসহ তিন ডাকাত গ্রেফতার এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক
নওয়াজ শরীফ পিয়াস (চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি) : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা শহরের শাপলাকলিপাড়ায় সোমবার গভীর রাতে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে পুলিশ-জনতার যৌথ অভিযানে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। এসময় পুলিশ ভারতীয় তৈরী একটি পিস্তল,দুই রাউন্ড গুলি,একটি চাইনিজ কুড়াল ও রাম দা উদ্ধার করেন। দু’দিনের ব্যবধানে একই স্থানে দু’টি ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানান,জীবননগর উপজেলার পৌর শহর শাপলাকলিপাড়ায় গত রোববার রাতে মিছরী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে রাত এগারটার দিকে ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকাসহ তিন লক্ষাধিক টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার দু’দিনের মাথায় সোমবার গভীর রাতে ৫-৬ জন ডাকাত একই স্থানের বাসিন্দা অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য নজরুল ইসলামের বাড়ীতে ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়ার সময় এলাকাবাসী কৌশলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। এ সংবাদে পুলিশ সেখানে দ্রুত পৌছান এবং স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে হাতে-নাতে তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ এ সময় একটি পিস্তল ও দু’রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি চাইনিজ কুড়াল এবং রাম দা উদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হচ্ছে-ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাকোশপোতা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে হুসাইন মোহাম্মদ(৩০),রায়পুর পুর্বপাড়ার চাঁদ আলী শেখের ছেলে বিল্লাল হোসেন(৩৫) ও জীবননগর শাপলাকলিপাড়াপাড়ার মৃত মইনুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ আলী(২২)। জীবননগর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম রাজা বলেন,শাপলাকলিপাড়ার মিছরি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের বাড়ীতে গত রোববার রাতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। এ ঘটনার দু’দিনের মাথায় একই মহল্লার বাসিন্দা এক্য্র আর্মি নজরুল ইসলামের বাসায় ডাকাতি প্রস্তুতি কালে আমরা এলাকাবাসী পুলিশের সহযোগীতায় ডাকাত দলকে ধাওয়া করে তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার আটক করা হয়। গত দু’দিনের ব্যবধানে পর পর দু’বার ডাকাতির ঘটনায় আমরা এলাকাবাসী চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন,জীবননগর শহরের শাপলাকলিপাড়ায় সোমবার গভীর(রাত ২ টার দিকে) রাতে ডাকাতি প্রস্তুতির খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছান এবং জনতার সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে একটি পিস্তল,দুই রাউলগুলি,একটি চাইনিজ কুড়াল ও রাম দাসহ ডাকাত দলের সদস্য হুসাইন মোহাম্মদ,রিয়াজ ও বিল্লালকে গ্রেফতার করি। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদেরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।