মহেশপুরে প্রবাসীর পিতাকে বোকা বানিয়ে ৯৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিল এক প্রতারক।
মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর সোনালী ব্যাংকে এক প্রবাসী তার পিতার একাউন্টে ৯৪হাজার টাকা পাঠান। পিতা সেই টাকা তুলতে এসে লেখাপড়া না জানায় এক প্রতারকের ক্ষপ্পড়ে পড়েন। তাকে ব্যাংকে আধা ঘন্টা বসিয়ে রেখে চেকদিয়ে সমুদয় টাকা তুলে পালিয়ে যান। শেষ মেশ ওই পিতা থানায় একটি জিডি দায়ের করে প্রতারকের আটকের চেষ্টা করছে । মহেশপুর থানার ঘুগরী গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, তিনি পড়ালেখা জানেন না। ৮ মাস পূর্বে ছেলে জাহিদুল ইসলামকে মালোয়েশিয়া পাঠিয়েছেন। ছেলে বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে একদফা ৩০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। এবার টাকার পরিমান বেশি হওয়ায় ব্যাংক একাউন্টে পাঠিয়েছেন। ছেলে ব্যাংকে টাকা পাঠাবেন, তাই ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা শহরে সোনালী ব্যাংকে নিজ নামে একটি একাউন্ট খোলেন। সেই একাউন্টে টাকা তুলতে গিয়ে প্রতারনার স্বীকার হয়েছেন। তিনি আরো জানান, বুধবার সকালে ব্যাংকে এসে এক কর্মকর্তার নিকট একটি চেক দেন। তিনি চেকে একটি স্বাক্ষর নিয়ে আরেক জনকে দেখিয়ে দেন। এ সময় তিনি অপর কর্মকর্তার কাছে যাবার পথে অন্য একজন এসে চেকটি নিয়ে ম্যানেজারের টেবিলে দেন । তিনি ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে প্রতারকের কাছে চেকটি দেন এবং সেই ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে থাকেন। ব্যাংক ম্যানেজার চেকের উপর স্বাক্ষর করে আমার উপস্থিতিতে প্রতারক ব্যক্তিটির হাতে চেক টি ফেরত দেন । প্রতারক ওই ব্যাক্তি চেকটি ক্যাশে জমাদেন এবং আমাকে দুই ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলেন। আমি তার কথা মত অপেক্ষা করতে থাকি আর লোকটি ব্যাংকের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এভাবে আধাঘন্টা অপেক্ষার পর লোকটি সামনে থেকে হারিয়ে যায়। খোজ নিয়ে জানতে পারি ওই লোকটি তার চেকের ৯৪ হাজার ৮৪ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়েছে। পরে তিনি এ বিষয়ে থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানান। তিনি দুঃখ করে বলেন, এই টাকা না পেলে তিনি ছেলেকে কি জবাব দেবেন। এ বিষয়ে মহেশপুর থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এ.এস.আই সিরাজুল ইসলাম জানান, থানায় জিডি হয়েছে। ব্যাংকে থাকা সিসিটিভি’র ছবি দেখে প্রতারক সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।