নতুন বাজেটে ট্যাক্স রেট সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হবে: এনবিআর
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: আগামী বাজেটে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। এতে ট্যাক্স রেট (কর হার) সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা হবে, যাতে কারও কোনো ক্ষতি না হয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর রাজস্ব ভবনে সম্মেলন কক্ষে এক প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। সভায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা অটোমেশনের দিকে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভ্যাটের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ট্যাক্স রেট সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হবে। বড়দের জন্য বেশি আর ছোটদের জন্য কম। আর সেটা হলে কারও কোনো ক্ষতি হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের শুধু কর মওকুফ দিতেই থাকলে তারা কখনো লাভজনক হবে না। কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। ফলে এসব বিষয়ও এনবিআরকে মাথায় রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এনবিআর শুধু রাজস্ব আহরণ নয়, পলিসি মেকারের কাজও করে থাকে। অনেকে বলে থাকে আমরা প্রাইভেট সেক্টরে বেশি প্রটেকশন দিয়ে থাকি। আর প্রটেকশনের কারণে দেশীয় শিল্প রক্ষার নামে বিপদগ্রস্ত হচ্ছে। দু’একটি কোম্পানিকে প্রটেকশন দিয়ে কোনো লাভ নেই। বেজা, বেপজা, হাইটেক পার্ককে বেশ কিছু সুবিধা দেয়া হয়েছে। করপোরেট ট্যাক্সের মাধ্যমে অনেক রাজস্ব আছে। আর এটা কমানো হলে রাজস্ব কোথা থেকে আসবে সেটা চিন্তা করে দেখতে হবে।’ এসময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবণ চৌধুরী বলেন, ‘বন্ড লাইসেন্স নিতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেজন্য সামনে থেকে বন্ড লাইসেন্স অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যেন করা যায় সেটা চিন্তা করে দেখা দরকার।’
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বলেন, ‘ইনক্যাম ট্যাক্সের ফরম সহজিকরণ করা দরকার। ভ্যাটের রেট না বাড়িয়ে যদি ১২ শতাংশ করা হয় তাতে সরকারের ক্ষতি হবে না। ভ্যাটের অব্যাহতি প্রাপ্ত করসীমা অন্তত ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত করা যেতে পারে। নতুন ভ্যাট ও এসডি আইনে ১২৭১টি পণ্যের ওপর সম্পূরক শুল্ক তুলে নিতে যাচ্ছে। কিন্তু একবারে তুলে না নিয়ে পর্যায়ক্রমে তুলে নেয়াটা ভালো।’ বেপজার সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, ‘বেপজার অধীনে তথা আটটি ইকোনোমিক জোনে ৫ লাখ ২০ হাজার লোক কাজ করছে। বছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বেতন দেয়া হচ্ছে। স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে ৩৮টি দেশের ইনভেস্ট রয়েছে। কিন্তু অনেক জায়গায় পাঁচ-সাত বছরের ট্যাক্স হলিডে রয়েছে। এটা ১০ বছর করা দরকার। তাহলে ইকোনোমিক ক্ষেত্রে আরও বেশি উন্নতি হবে।’