পত্নীতলায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চারমাস পর খুনি আটক
নওগাঁ প্রতিনিধি: তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুনের চারমাস পর হারুন প্রামানিক (৪৮) নামের এক খুনি আটক করেছে থানা পুলিশ। আট দিন অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার গাজীপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। শনিবার নওগাঁ বিজ্ঞ আদালতে হারুন প্রামানিক ১৬৪ ধারায় খুন করার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হারুন প্রামানিক নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে। রোববার বিকালে জেলার পত্নীতলা থানায় সংবাদ সন্মেলন করে থানা পুলিশ এ বিষয়টি জানিয়েছেন। পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, হত্যাকান্ডের কয়েকমাস পূর্বে জেল হাজতে থাকা অবস্থায় নজিপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ অরফে লিটু ফকিরের সাথে খুনি হারুন প্রামানিক সহ অন্যান্য আসামীদের পরিচয় হয়। সেখানে থাকা অবস্থায় পতœীতলা উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ইছাহাক হোসেনের সাথে জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এবং এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র হত্যার পরিকল্পনা করে লিটু ফকির। এক সময় জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আসে আসামীরা। হত্যাকান্ডের প্রায় দেড়মাস আগ থেকে ওই এলাকায় আসামীরা কবিরাজ সেজে ছদ্দবেশে থাকত। প্রায় ২লাখ ৩০হাজার টাকার বিনিময়ে খুনিদের সাথে লিটু ফকিরের চুক্তি হয়। ঘটনার রাতে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর লিটু ফকির মোবাইলের মাধ্যমে তার বাড়িতে হত্যাকারীদের ডেকে নেয়। লিটু ফকিরের সার্বিক নির্দেশনায় ওসহযোগীতায় হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ঘটনারস্থল থেকে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। ঘটনায় নিহতের শ্যালক আবুল কালাম আজাদ অরুন বাদী হয়ে পতœীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ একই এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিন ফকিরের ছেলে নজিপুর পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাজ অরুফে লিটু ফকির সহ দুইজনকে আটক করে। তিনি আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনি হারুনকে আটক করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক ইছাহাক হত্যাকান্ডের জবানবন্দি প্রদান করেছে। উক্ত হত্যাকান্ডেঘটনায় পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছেবলেও তিনি জানান। জানা গেছে, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নওগাঁ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও পতœীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তীর সার্বিক সহযোগীতায় মামলার তদন্তকারীঅফিসার পতœীতলা থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত) জহুরুল হক,এসআই রবিউল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে ৮দিন অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর ডাইনকিনি এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে সম্পূক্ত মূল কিলার হারুন প্রামানিককে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য গত বছরের ৪ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ইছাহাক হোসেন দলীয় কার্যালয়ে মিটিং শেষে তার নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় আগ থেকে ওত পেতে থাকা দূরর্বিত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরানো হলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় দর্ঘি ৪মাস পুলিশি তদন্ত অব্যাহত রাখে। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় হত্রাকান্ডের সাথে জড়িত মূল ব্যক্তিকে আটক করা হয়।