বাগেরহাট মড়েলগঞ্জের কাবুল হত্যায় পিবিআই পুলিশের কার্যকলাপে জনমনে অসস্থি। নির্দোষ ব্যক্তিরা গ্রেফতার আতংকে ভুগছে।
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলার মড়েলগঞ্জ উপজেলা আলতীবুরোজবাড়ীয়া (পুলেরহাট) গ্রামের আব্দুল গফ্ফার মোল্লার ছেলে স’মিল মিস্ত্রি কাবুল মোল্লা খুন হয় গত ২১ জানুয়ারী, ২০১৯। কাবুলের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল গফ্ফার মোল্লা মড়েলগঞ্জ থানায় মামলা করে, যাহার নং- ৩৩, তাং- ২২/০১/২০১৯ইং। মামলাটি যথা সময়ে যথা নিয়মে থানায় রেকর্ড হওয়া সত্ত্বেও থানা কর্তৃপক্ষ নিরব ভূমিকা পালন করে। এলাকাবাসী ব্যক্ত করে, মামলায় রেকর্ড করা আসামীরা থানা পুলিশের সাথে আতাত করার কারণে কোন প্রকার তৎপরতার লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। থানা পুলিশ যেকোন অদৃশ্য শক্তির কারণে কাবুল হত্যায় জড়িত আসামীদের কোন প্রকারে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় না। থানা পুলিশ কোন প্রকার তৎপরতা না করার কারণে এক পর্যায়ে উল্লেখ্য মামলাটি থানা থেকে পিবিআই পুলিশ কৌশলগত উপায় খুজে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয় এবং পিবিআই পুলিশ এক পর্যায়ে এফ.আই.আর এর নামিয় আসামীদের দুইজনকে গ্রেফতারও করে বটে কিন্তু আসামীদের কে কোন অদৃশ্য শক্তির বিনিময়ে তাদেরকে কোন প্রকার কৌশলগত চেষ্টায় খুনের সরঞ্জামাদি বা আলামত উদ্ধার না করে সাধারণ ভাবেই আদালতে সোপর্দ করে। পক্ষান্তরে, কিছুদিনের মধ্যে বাদীর ছেলেকে সহ অন্যদের গ্রেফতার করে এবং তাদেরকে মারাত্মক অত্যাচার সহ মারপিট করে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী এক খানা-খন্দকের মধ্য থেকে লোহার রড এবং ছুরি উদ্ধারের নাটকীয় মর্মে আসামী করতঃ আদালতে সোপর্দ করে। শুধু আদালতে সোপর্দই নয় ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর স্বীকারোক্তিও তৈরী করতে তৎপরতায় লিপ্ত থাকে। এক পর্যায়ে আসামীদের ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে সোপর্দ করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে চাপ সৃষ্টি করে তাৎক্ষনিক ম্যাজিষ্ট্রেটের খাস কামরায় আসামীদেরকে স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত বক্তব্য তৈরি করতঃ আসামীদেরকে তাহাতে স্বীকারোক্তিমূলক স্বাক্ষরও করতে বলে। কিন্তু আসামীরা স্বাক্ষর করে না। তখন ম্যাজিষ্ট্রেট পিবিআই পুলিশকে তার খাসকামরায় ডেকে ব্যক্ত করে আসামীদের বক্তব্যের সাথে কাগজে লিখিত বক্তব্য মেলে না। তখন পুনরায় আসামীদেরকে পিবিআই রুমে ফেরত নিয়ে আবারো প্রচন্ড আকারে মারপিট করে এবং প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে পুনরায় আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেটের খাস কামরায় নিয়ে ভয়-ভীতির ইংগিতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করায় মর্মে আসামীদের বক্তব্যে জানা যায়। প্রকাশ থাকে যে, এফ.আই.আর এর আসামীদের কোন চাপ প্রয়োগ না করে তাদের আদালতে স্বাভাবিক ভাবেই সোপর্দ করে অথচ কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে বাদীর সন্তানের হত্যার সূত্রে বাদীর অপর সন্তানসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতার করতঃ হত্যার মিথ্যার আলামত সহ সোপর্দ করে তাহা এখন সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা। তবে আসামীরা জেলখানার মাধ্যমে উল্লেখ্য ভয়-ভীতির মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় প্রদান করা স্বাক্ষরিত বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য লিখিত ভাবে পেশ করছে মর্মে জানা যায়। এছাড়া আরো জানা যায়, কাবুল হত্যার বাদী বৃদ্ধ পিতা আব্দুল গফ্ফার মোল্লার অপর ছেলেকে সহ অন্যদেরকে আসামী করে আদালতে পিবিআই পুলিশ কর্তৃক সোপর্দ করার প্রতি মনক্ষুন্ন হয়ে আমলী আদালতে প্রতিবাদমূলক আবেদনও করতে যাচ্ছে মর্মে শুনা যায়। এলাকাবাসীর ভাষ্য পিবিআই পুলিশ থানা থেকে মামলাটি স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যেই হস্তগত করে এবং তাহাতেই ন্যস্ত আছে। যাহাতে এলাকার অন্যান্য সাধারণ ব্যক্তিও গ্রেফতার আতংকে ভুগছে।
(বিস্তারিত আগামীতে)