ভূয়া সংবাদিক, প্রতারক চক্রের খপ্পর থেকে সাবধান
স্টার্ফ রির্পোটার: বাঙালী জাতি সভ্য ও শান্তিপ্রিয়, বিশ্বাসী, উন্নয়নশীল, প্রতিবাদী, পরিশ্রমী হিসাবে পরিচিত এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশ্বাসী। যেখানেই ঝুলানো সাইনবোর্ড দেখেন বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত, এই সাইনবোর্ডের প্রতি অত্যন্ত আস্থাশীল। হোক সেটা যেকোন ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিমালিকানা। এই সুযোগে প্রতারক চক্র হয়ে ওঠে সক্রিয়। বিভিন্ন পেশার নামে পরিচয়পত্র বানিয়ে সেজে ওঠেন ক্ষমতাশীল বড় পদের অধিকারি। এই ব্যক্তিটির খপ্পরে পড়েন সর্বস্তরের মানুষ। প্রকৃত পেশাজীবি ব্যক্তিও জড়িয়ে পড়ে এই মূলধনবিহীন ব্যবসায়। চাকরি দেওয়ার নামে, বিদেশে পাঠানোর নামে, সম্পদ দখল করে দেওয়ার নামে অসম্ভবকে সম্ভব করে দেওয়ার নামে, অল্প টাকায় অধিক সম্পদের মালিক করে দেওয়ার নামে, সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য করে দেওয়ার নামে প্রতারনা করে থাকে। এই প্রতারক চক্রের লোকেরা নারী, পুরুষ সংঘঠিত হয় এই প্রতারনা মূলক বিষয়টি অনেকেই পেশা হিসাবে বেছে নেয়। কারন প্রতারনা মামলা থেকে জামিন ও খালাশ পাওয়া কঠিন কোনো বিষয় নয়। মান-সম্মান, ব্যক্তিত্ব বোধ বলতে তাদের কিছু নেই এবং তাদের বাবা-মা নেই। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে অন্যের ক্ষতি করার বিষয়টি তাদের মূল উদ্দেশ্য। সবাই তাদের কাছে প্রতরনার শিকার। অন্যকে ঠকানোর মনোভাব, রাতারাতি ধনি হওয়ার স্বপ্ন, লোভ এবং মিথ্যার আশ্রয় পরিহার করলে প্রতারকদের খপ্পর থেকে বেচে থাকাতে পারবেন।
পেশাজীবি এই প্রতারক চক্রের মাষ্টার আজিজুল হাকিম (৬৫), তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর। কর্মক্ষম হওয়ার বয়স থেকে আজিজুল হাকিম পেশা হিসাবে বেছে নেয় মানুষের সাথে প্রতারনা করার ব্যবসা। নিজ পরিবার এবং এলাকা থেকে শুরু হয় তার এই ব্যবসা। ফলে সে পরিবার এবং এলাকা থেকে বিছিন্ন। ভবঘুরে সন্তানহীন তার জীবন। সে ছিল ভ্রাম্যমান প্রতারক। বিগত ১৫/১৬ বৎসর ধরে প্রতারনার ব্যবসা বড় করার উদ্দেশ্যে শুরু করে অফিস ঠিকানা ব্যবহার করে। বিগত ৫/৬ বৎসর ধরে র্জানালিসম এগিনেস্ট ক্রাইম এন্ড র্জানালিসম এন্টি কারপশন, ঠিকানা- ৩৯/১, বি.বি এভিনিউ (৫ম তলা), ঢাকা- ১০০০। সরকার অনুমোদিত সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তার প্রতারনার ব্যবসা শুরু করে। ভালো পরিবারের অনেক ব্যক্তিকে সদস্য করে, প্রতারনা, চাঁদাবাজি করার প্রশিক্ষন দিয়েছে। বড় মাপের ভুয়া সাংবাদিক সেজে, সাংবাদিক নামে আর্দশ্য সেবা মূলক পেশাকে অবলুন্ঠিত করেছে। সাংবাদিক নিয়োগ শিরোনামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে। ভূয়া পরিচয়পত্র বানিয়ে কখনো সে পুলিশ অফিসার, কখনো র্যাব অফিসার, কখনো ডিবি অফিসার, কখনো সি.আই.ডি অফিসার, কখনো এস.বি অফিসার, কখনো ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে প্রতারনামূলক কার্যক্রম, চাঁদাবাজি করে চলছে। লাখ টাকার নিচে সে চাঁদাবাজি, প্রতারনা করে না। তার চাঁদাবাজি, প্রতারনা বড় অংকের। ৫ তলায় র্জানালসম এগিনেস্ট ক্রাইম এন্ড র্জানালিসম এন্টি কারপশন, ঠিকানা- ৩৯/১, বি.বি এভিনিউ (৫ম তলা), ঢাকা- ১০০০ এই ঠিকানা ব্যবহার করে। সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে তার চক্রের প্রশিক্ষন প্রাপ্তদেরকে নিয়ে প্রতারনা ব্যবসা শুরু করেন। সাংবাদিক নিয়োগ নামে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করে। এই ঠিকানা ব্যবহার করে সাইফুদ্দিন, পিতা- মোঃ নুরুল নবি, ৮১/১, ফকিরাপুল, ঢাকা কে তিন মাসের মধ্যে সচিবালয় অফিস সহকারি পদের চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারনা করে পাঁচ লক্ষ টাকা চুক্তি করে। র্জানালসম এগিনেস্ট ক্রাইম এন্ড র্জানালিসম এন্টি কারপশন প্যাডে চুক্তিপত্র লিখে স্বাক্ষর করে। গত ১৩/১০/২০১৭ ইং তারিখে প্রতারনা করে ১) আজিজুল হাকিম, ২) স্বপ্নীল চৌধূরী জাবেদ দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা নেয়। সাইফুদ্দিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সি,এম,এম আদালত, ঢাকা, মামলা করে। সি,আর মামলা নং- ৬১৯/২০১৮ এই মামলায় স্বপ্নীল চৌধুরী জাবেদ ৩ মাস পরে জেল থেকে জামিনে বের হয়। একই ঠিকানা ব্যবহার করে মোঃ শাহজাহান, পিতা- মৃত আব্দুল হক, গ্রাম- দলটা, খলিফাবাড়ি, থানা- রামগঞ্জ, জেলা- লক্ষীপুর এর বির্তকীত বেদখল সম্পত্তি দখল করে দেওয়ার নামে প্রতারনা করে ষোল লক্ষ টাকা চুক্তি করে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তি করে স্বাক্ষর করে গত ০২/১১/২০১৬ ইং এবং ২৫/০৭/২০১৭ ইং তারিখের মধ্যে শাহজাহানের নিকট থেকে প্রতারনা করে নগদ এবং ব্যাংক চেকের মাধ্যমে এগারো লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নেয়। শাহাজাহান বাদী হয়ে ১) আজিজুল হাকিম, ২) স্বপ্নীল চৌধুরী জাবেদ, ৩) গাজী রহমউল্লা, পিতা- মৃত আবদুল বারেক এদের বিরুদ্ধে সি,এম,এম আদালত ঢাকা মামলা করে। সি,আর মামলা নং-৯৭৩/২০১৮। কেয়ারটেকার সরকারের আমলে ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেট সেজে মিরপুর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে জেলখাটে। চলতি সরকারের আমলে আদম পাচার মামলায় কদমতলী থানার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। কখনো লিখিত অঙ্গিকার নামা দিয়ে আবার কখনো অলিখিতভাবে প্রতারনা করে থাকে। দুইজন মহিলাকে মানবঅধিকার কর্মী হিসাবে সুইজারল্যান্ডে পাঠানোর নামে প্রতারনা করে বড় অংকের টাকা নেয়। পরবর্তী সময়ে তাদেরকে ভিবিন্নভাবে এবং ভিবিন্নধরনের হুমকি ও মিথ্যা মামলা করার ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তার স্ত্রী নেই এই কথা জানিয়ে যুবতী মেয়েদের লক্ষ টাকার মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে প্রতারনা করা শিখায়, এবং পার্টির লোক সংগ্রহ করায়। নিজের মেয়ে পরিচয় দিয়ে তার ভাড়া বাসায় রেখে যৌন কর্ম করে। তারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
আগামী সংখ্যায় বিস্তারিত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে।