আগামিকাল পবিত্র শবে মেরাজ
অপরাধ তথ্যচিত্র ডেক্স: পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে। ইসলামিক ফাইন্ডেশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবিত্র শবে মেরাজ উপলক্ষে বুধবার আসরের নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ‘লাইলাতুল মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক ওয়াজ ও দোয়ার আয়োজন করেছে। দেশের প্রতিটি মসজিদে বাদ মাগরিব দোয়া ও বিশেষ বয়ান করা হবে।ইসলাম ধর্ম মতে, শবে মেরাজের রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) অলৌকিকভাবে বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন। নবীজি (সা.) আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। সেই থেকে জিকির-আসকার, নফল নামাজ, দোয়ার মধ্য দিয়ে শবে মেরাজের রাত অতিবাহিত করেন মুসলমানরা।হাদিস ও সাহাবিদের বর্ণনা অনুযায়ী, মেরাজের রাতে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.) রাসুল (সা.) নিয়ে কাবা শরিফের হাতিমে যান। জমজমের পানিতে অজুর পর বোরাক নামক বাহনে জেরুজালেমের বায়তুল মুকাদ্দাসে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। এরপর সেখান থেকে মহানবী (সা.) প্রথম আকাশে পৌঁছান । সেখানে হজরত আদম (আ.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।এভাবে সাত আকাশ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে সাক্ষাৎ করেন হজরত ঈসা (আ.), হজরত ইয়াহইয়া (আ.), হজরত ইদ্রিস (আ.), হজরত হারুন (আ.), হজরত মুসা (আ.) এবং হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সঙ্গে। সপ্তম আকাশ থেকে সিদরাতুল মুনতাহায় গমন করেন মহানবী (সা.)। সেখান থেকে আরশে আজিম যান। এক ধনুক দূরত্ব থেকে আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন হয়। তখনই মহানবী (সা.)-এর উম্মতদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়।মেরাজ শেষে পৃথিবীতে ফিরে রাসুল (সা.) পুরো ঘটনা হজরত আবু বকর (রা.)-এর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি নিঃসংশয়ে তা বিশ্বাস করেন। রাসুল (সা.) তাঁকে সিদ্দিকী বা বিশ্বাসী খেতাব দেন।