ভোলাহাটে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারলো না ১৭ পরীক্ষার্থী

ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি: ১ এপ্রিল সোমবার শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারলো না ১৭ পরীক্ষার্থী। ভোলাহাট উপজেলার ঝাউবোনা মডেল টেকনিক্যাল এন্ড বিএম ইন্সটিটিউট শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের জেরে এ প্রতিষ্ঠানের ১ম বর্ষের ১৭ পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। ভূক্তভূগিরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছ থেকে ২হাজার ৭০ টাকা করে ফরমফিলাপের টাকা নেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসায় কলেজে গিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্রের জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪/৫দিন পূর্ব থেকে কলেজে গেলে শিক্ষকেরা প্রবেশপত্র আজকাল দিবো বলে কালক্ষেপন করেন। পরে পরীক্ষার দিনও প্রবেশপত্র পাওয়ার জন্য কলেজে গেলে বেলা ১১টার সময় তাদেরকে প্রবেশপত্র দিবে বলে আশ্বাসত্ব করেন। কিন্তু বেলা ১১টার সময়ও তাদেরকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না দিয়ে কলেজ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক রেবিনা খাতুন, শিউলি খাতুন ঢাকা থেকে ই-মেইল যোগে প্রবেশপত্র আসবে বলে জানান। এ সময় ভূক্তভূগি পরীক্ষার্থীরা দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া তাদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ অনিশ্চিত ভেবে প্রতিকারের আশায় ছুটে যায় ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা পারভিনের কাছে। তারা তাদের প্রবেশপত্র না পাওয়ায় তাদের জীবন থেকে একটি বছর ঝরে যাওয়ায় আকুতি করতে থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সরদারকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেন। এ ব্যাপারে কলেজের দাবীদার অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, কেরানী হালিম, শিক্ষক রেবিনা খাতুন ও শিউলি খাতুনের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা কোন সমাধান না দিয়ে তার ফোন কেটে দেন এবং পরবর্তিতে ফোন বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে এরেক জন দাবীদার অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি দায় চাপান অপর দাবীদার অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের উপর। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে না পারায় তাদের জীবন থেকে ঝরে যাওয়া একটি বছর জন্য আহাজারির অন্ত নাই। তাদের জীবন থেকে ঝরে যাওয়া একটি বছরের দায় কে নিবে এমন প্রশ্ন তাদের। তাদের দাবী প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বের জেরে ১৭পরীক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন ভূক্তভূগি পরীক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে কলেজের অভ্যন্তরিন দ্বন্দ্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। একই বিষয়ে কলেজের সভাপতি আইয়ুব আলী মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখছি বলে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *