বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার আমলেই সব ধর্ম বর্ণের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে —প্রণয় কান্তি বিশ্বাস,চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিসি
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট: বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস বলেছেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলেই সব ধর্ম বর্ণের মানুষ শান্তিকেত বসবাস করেন। শুক্রবার তার পিতা স্বর্গীয় জিতেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও মাতা বিজন বাসিনী দেবীর আত্মার শান্তি ওবিশ্ব শান্তি কল্পে মঙ্গল কামনায় বাৎসরিক স্মরণ সভা উপলক্ষ্যে এক মতুয়া মহাযজ্ঞ ও মহোৎসব অনুষ্ঠানে তিনি এক কথা বলেন। শুক্রবার দিন ব্যাপী বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার বাবুর বাড়ী গিরিশনগর গ্রামে অনুষ্ঠিত মতুয়া মহাযজ্ঞ ও মহোৎসব অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, এ দেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ। সব ধর্মের মানুষ অবাধে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই জঙ্গীবাদ ও অপশক্তি ধ্বংস করে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করতে হবে।
কারণ এ দেশ সব ধর্মের মানুষের দেশ। সব ধর্মের মানুষ অবাধে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এ উপলক্ষ্যে সকালে পবিত্র গীতাপাঠ, হরিনাম সংকীর্তণ, স্মরণসভা ও মতুয়াদের আগমন ও মহোৎসব চলে দিনভর। রাতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জীবন আলেখ্য ‘হরিযাত্রা ” অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্লাহাট উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাঈদ মোমেন মজুমদার,উপজেলা আ’লীগ সভাপতি কালিপদ বিশ্বাস, থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবীর, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মুন্সি তানজিল হোসেন ও প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল।উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস, নির্বাচন অফিসার প্রবীর কুমার মল্লিক,অধ্যাপক অরুন কুমার দাসপ্রমূখ।সরেজমিনে গিয়ে জানা দেখা,লাখো ভক্তের আগমনেভক্তের ঢলে মূখরিত মহানাম যজ্ঞ মহোৎসব এক নজর শুনতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে হাজার হাজার ভক্তের ঢলে মূখরিত । এ যেন মিলন মেলায় পরিনিত হয়েছে। দুর-দুরান্তের আশা আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে এক আবেক ঘন উল্লাস যেন কয়েক বছর পর আপন জনদের দেখা মেলে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে। শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠানটি সফল করতে মোল্লাহাট থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশসহ কমিটির লোকজনও কঠোর নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছেন। মতুয়া মহাযজ্ঞ ও মহোৎসব অনুষ্ঠান পরিনত হয় মিলন মেলায়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত সহ সব শ্রেণী ও পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।