বাগেরহাটের মড়েলগঞ্জ কাবুল হত্যার আসামীরা জেলা কারাগারে। বাদী পুত্র হারা গরীব পিতা যথার্থ প্রতিবেদন না পাওয়ার আশংখায় ভুগছে।

বিশেষ প্রতিনিধি: বাগেরহাট জেলার মড়েলগঞ্জ থানাধীন পোলেরহাট গ্রামের আব্দুল গফ্ফার মোল্লার ছেলে স-মিলের মিস্ত্রি দিন মজুর কাবুল মোল্লা খুন হয় পিতার পৈত্রিক একখন্ড বসত ভিটাবাড়ী আসামীদের লালসার জের ধরে। বসতভিটা জমিটুকুতে দীর্ঘদিন যাবত কাবুল মোল্লা ঘর গৃহবাস করে আসছে। তথাপিও জমিটুকু জোর দখলের সূত্র ধরে গত ২২ জানুয়ারী,২০১৯ তারিখ দিবাগত রাতে স-মিলের কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে দূর্বিত্তদের হাতে খুন হয় কাবুল মোল্লা, যাহা বাদী আব্দুল গফ্ফার মোল্লা বাগেরহাট জেলার মড়েলগঞ্জ থানার মামলা নং- ২২, তাং- ২২/০১/২০১৯ ইং। বর্তমান মামলাটির আসামীরা যথাক্রমে তিনজন জেলা কারাগারে অবস্থান করছে বটে কিন্তু প্রভাবশালী এবং বৃত্তবান আসামীরা আইনের ফাঁক ফকর এবং অর্থের বিনিময়ে তদন্ত হবেনা মর্মে বাদীর সন্দেহ হচ্ছে মর্মে ব্যক্ত করেন। এলাকাবাসীসহ সচেতন মহল ব্যক্ত করছে গরীবের বিচার কি হবে? এটা এখন নিত্যান্তই আল্লাহ ভরসা। তবে নিরিহ দিন মজুর স-মিলের মিস্ত্রি কাবুলের এক খন্ড পৈত্রিক ভিটা বাড়ীর লালসায় আসামীরা তাকে খুন করে। বর্তমানে সেই বসত বাড়ীর উপরেই খুন হওয়া কাবুল মোল্লার স্ত্রী সন্তানেরা এবং বৃদ্ধ বাবা-মা বসত করতেও অনেক প্রকার ভয়-ভীতির আশংখা করছে। ইতিমধ্যে পলাতক ৩নং আসামী ইয়ামিন সিকদার নানান সময় নানান ভাবে সন্ত্রাসী, দূর্বৃত্ত দ্বারা তার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। তবে এত বড় জঘন্য খুনের মামলায় আসামীদের জবানবন্দি থেকে কলা-কৌশল অবলম্বনে শুনা বা জানা বুঝার সুযোগও সৃষ্টি হলো না মর্মে ব্যক্ত করে বাদী পক্ষের আসামীসহ আপনজনেরা। একটি নির্ভযোগ্য সূত্র ব্যক্ত করে পিবিআই (পুলিশ) অত্যন্ত কৌশল অবলম্বন করে সু-দূর ঢাকা থেকে ১নং আসামী রব শিকদারকে এবং এলাকা থেকে ২নং আসামী খবির মোল্লাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু অপর দুই আসামী যথাক্রমে ইয়ামিন সিকদার এবং নুরুল ইসলাম হাইকোর্টের এক নির্দেশনায় তিন সপ্তাহের একটি আদেশের সূত্র ধরে নুরুল ইসলাম নি¤œ আদালতে হাজিরার মাধ্যমে জেল হাজতে গেলেও ৩নং আসামী ইয়ামিন সিকদার হাইকোর্টের আদেশনামাকে অবমাননা করতঃ পলাতক থেকে বাদী পক্ষকে হুমকি প্রদান করছে। তবে গ্রেফতারকৃত আসামীদের স্বীকারোক্তির কৌশলটি যেন কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে অনিহা প্রকাশ করছে মর্মে বাদীপক্ষ ব্যক্ত করে।
(তদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত আগামীতে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *