মহেশপুরে থৈ থৈ পানিতে ভাঁসছে চাষীদের সোনালী স্বপ্ন।
মোঃমশিয়ার রহমান টিংকু(ঝিনাইদহ মহেশপুর): ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউপির ঢকের বিলে ডুবে গেছে ঐ এলাকার ৬ গ্রামের প্রায় ৮০ বিঘা ধান চাষের ফসলি জমি।গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনে,মাইলবাড়ীয়া,টাঙ্গাইল পাড়া,সেজিয়া,নলবিলপাড়া,পুটিগাড়ী পাড়া,সাহেবপাড়াসহ ৬ গ্রামের ফসলি জমিতে এখন থৈ থৈ পানি।ডুবে গেছে এই মৌসুমের মাঠভরা ধানের চারা।জমে থাকা পানিতে পচন ধরেছে ধানের চারা।এলাকার কৃষকরা এ বছর বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেন ও পাইপ সংস্কারের অভাবে অচল হয়ে পড়া এই বিলটি এখন অত্র এলাকার কৃষকের দু:খ।অত্র বিলের চাষীরা জানান,বর্ষা মৌসুমে প্রায় আমাদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়,কিন্তু কোন সময় এই শীত মৌসুমে এমন ক্ষতি হয়নি,কিছু দিন যাবৎ টানা বর্ষনে আমাদের প্রায় ১০০ পরিবারের ৮০ বিঘা জমির ধানের চারা পানিতে ডুবে গেছে।এতে আমরা এখন চরম বিপাকে আছি।উর্ধতন কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের সবিনয় নিবেদন মৌসুমী চাষের সময় যেন এরকম সমস্যার সম্মুখিন হতে না হয় এ জন্য বিল থেকে পানি নিষ্কাষনের ব্যাবস্থা করে দেয়।যেহেতু,বিলের পাশেই রয়েছে ইছামতি নদী বিল থেকে পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেন ও পাইপ স্থাপন করলেই আমাদের এই দূর্ভোগ লাঘব হবে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এলাকার শত শত কৃষকের আবাদী ফসলের প্রায় ৮০ বিঘা আয়তনের মাঠের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন ও অপ্রতুল। একটু বৃষ্টি হলেই ফসলী মাঠসহ তলিয়ে যায় কৃষকের স্বপ্ন।এই বিলটি শুরু থেকেই যেন অভিভাবকহীন। সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা দীর্ঘদিন বিলটি দিন দিন চাষের অনুপোযোগী হয়ে পড়ছে।গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি বের না হওয়ায় ডুবে গেছে বহু কৃষকের ধানের চারা।থৈ থৈ পানিতে ভাঁসছে চাষীদের সোনালী স্বপ্ন। এ ব্যাপারে মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জনাব, আবু তালহা জানান,মহেশপুর উপজেলার ঢকেরবিলে পানিতে ডুবে যাওয়া শতাধিক পরিবারের খাদ্যের উৎস ও ৮০ বিঘা জমির ধান চাষ,চাষীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই বিলটির পানি নিষ্কাশনের জন্য সর্বাত্বক চেষ্টা ও সহযোগিতা করবো।