সরকার বিধিমালা করলেও মানছেনা শিক্ষককেরা,, ফুলবাড়ীর খয়েরবাড়ী এলাকায় সরকারী বিধিমালা লঙ্ঘন করে কোচিং বানিজ্য জমজমাট॥
মোঃ আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: শিক্ষা মন্ত্রনালয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষকদের কোচিং বানিজ্য আইন করলেও সে আইন মানছেনা শিক্ষকরা। ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউপির খয়েরবাড়ী গ্রামে, উপজেলার খয়েরবাড়ী ইউপির মধ্যমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আরাফাত হোসেন রাসেল সেখানে কোচিং সেন্টার খুলে ৩য় শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত কোচিং পরিচালনা করছেন। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণী ২০০ টাকা, ৫ম শ্রেণী ৩০০ টাকা, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেনী ৩০০ টাকা, ৮ম শ্রেনী ৪০০ টাকা ৯ ও ১০ম শ্রেনী মানবিক ৪০০ টাকা এবং বিজ্ঞান শাখা ৬০০ টাকা নিধারন করে মাসিক ফি গ্রহণ করছেন। একই ভাবে ফুলবাড়ী পৌর শহরের চৌধুরী প্লাজা ভবনে ৫ম থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত একই ফি গ্রহণ করে কোচিং পরিচালনা করছেন। যা রীতিমত শিক্ষা নীতির পরিপন্থি। চলতি বৎসর সরকার কোচিং বানিজ্যর বিষয়ে নীতিমালা করেছেন সেই নীতিমালায় কোন শিক্ষক কোচিং পরিচালনা করতে পারবেন না। কিন্তু মোঃ আরাফাত হোসেন রাসেল একজন সরকারী শিক্ষক তিনি কখনও কোচিং এর সাইবোর্ড দিয়ে কোচিং পরিচালনা করতে পারে না। কিন্তু তিনি সরকারী বিধিমালা লঙ্ঘন করে কোচিং বানিজ্য করছেন। একই ভাবে খয়েরবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশিদ মামুন তার বাড়ীতে কোচিং বানিজ্য করছে। তিনিও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত কোচিং করান। তিনি জানান, এস,এস,সি পরীক্ষার ব্যাচকে আগে কোচিং করিয়েছিলাম। এখন আর ছাত্রছাত্রীদের কে কোন কোচিং করাই না। এ ব্যাপারে আইডিয়াল কোচিং সেন্টার এর পরিচালক এর সাথে গতকাল সোমবার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আমি সরকারী চাকুরি করিনা। এখানে কোন সরকারী শিক্ষক নেই। মধ্যমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আরাফাত হোসেন রাসেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকুরি করে কি না? এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোছাঃ হাসিনা ভূইয়ার সাথে সোমবার মুঠোফোনে কথা বললে তিনি সাংবাদিক কে জানান, মোঃ আরাফাত হোসেন রাসেল মধ্যমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারী চাকুরীরত আছেন। সরকার রীতিমত বিধিমালা করেছে, বিধিমালা অনুযায়ী একজন সরকারী শিক্ষক কখনও কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারবে না। যদি করে থাকে তা অবৈধ। তবে ফুলবাড়ী পৌর শহর সহ সর্বত্রে কোচিং বানিজ্যর প্রশার ঘটেছে। রুখবে কে?