দিনাজপুরে মাদক মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় সন্ত্রাসীদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সাদ্দাম ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুর প্রহর গুনছে

মোঃ আফজাল হোসেন ফুলবাড়ী দিনাজপুর প্রতিনিধি: র‌্যাব-১৩ কর্তৃক মাদক মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার কারণে দিনাজপুরে সন্ত্রাসীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে সাদ্দাম হোসেন গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়ে ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর প্রহর গুনছে। এ বিষয়ে সাদ্দামের পিতা আলী হোসেন গত বুধবার ১৩ ফেব্রুয়ারি রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) গণেশতলা, পৌরমার্কেট (২য় তলা) দিনাজপুর কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মোলনে আলী হোসেন জানান গত ৬ সেপ্টেম্বর”১৮ তারিখে র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর শহরের নিমনগর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০ পিস ইয়াবা সহ মাদক সম্রাট নুর হোসেনকে আটক মামলায় আমার পুত্র সাদ্দাম হোসেনকে স্বাক্ষী করা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরে ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসীর দল গত ১৯জানুয়ারি আমার দক্ষিণ বালুবাড়ি ঢাকাইয়াপট্টি বাড়ি থেকে পুত্র সাদ্দাম হোসেনকে সুকৌশলে ডেকে তাদের বাড়ির সামনে নিয়ে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেশী ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রহার শুরু করলে পুত্রের চিৎকারে পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় সাদ্দামকে উদ্ধার করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এই ঘটনার বিষয়ে পুত্রবধু সাদ্দামের স্ত্রী লিপি বেগম জেলা-দিনাজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালতÑ১ বাদীনি হয়ে ৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে। এই মামলা করাকে কেন্দ্র করে উক্ত মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করছে। উপায়ন্ত না পেয়ে সদর কোতয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক ৩ টি সাধারণ ডাইরী করা হয়, যার ডাইরী নং-১৪২১,১৫১৪ ও ১৮৩৬। উক্ত মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে মাদক সম্রাট নুর হোসেন, মিন্টু ও লাবনি সহ তাদের ৮/১০জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে গত ৩০জানুয়ারি দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সন্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে ঘরের মালামাল ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডবলীলা চালায়। এসময়ে সন্ত্রাসীরা সাদ্দাম হোসেনের সর্বশরীরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত চালায়। পরিবারে লোকজন সহ এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে সাদ্দামকে মুমুর্ষ অবস্থায় এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আমি সাদ্দাম হোসেনের একজন হতদরিদ্র পিতা। পুত্রের চিকিংসার জন্য ইতিমধ্যে বাড়ি বন্দক দিয়েছি। ঘরের সোনাদানা সহ অনান্য জিনিষপত্র বিক্রি করে চিকিৎসায় ব্যয় করছি। সন্তানকে সুন্থ্য করতে গিয়ে বর্তমানে নিঃস্ব হয়ে গেছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুঃখ করে বলেন দেশে যখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাদককে জিরো টোলারেন্সে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ বিভাগসহ জেলা প্রশাসন ঠিক এমনি সময় মাদক সম্রাট মিন্টুসহ তার সন্ত্রাসীর দল এখন বাড়ি ঘরের উপর হামলা ও লুটপাট করবো বলে হুমকি প্রদর্শন করছে। বর্তমানে মাদক সম্রাট নুর হোসেন, মিন্টু ও লাবনি গং কিভাবে জেলা শহরে আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে এটাই এলাকাবাসীকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তাই সুবিচার পেতে পুলিশ বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যাতে করে অত্রাঞ্চলে মাদক মুক্ত হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *