সুজানগর একই স্থানে ৩ ভাটা একটি গুড়িয়ে দিলেন প্রশাসন ॥ কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ
সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের কুমারদুলিয়া মৌজায় কামারদুলিয়া গ্রামের একই স্থানে ৩ টি ইট ভাটার একটি গুড়িয়ে দিলেন প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে কে এস বি ব্রিকস্ নামক নতুন ইট ভাটা টি গুড়িয়ে দিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। কে এস বি ব্রিকস্রে প্রোপাইটর কুরবান আলী অভিযোগ করে বলেন আমার ভাটার উত্তরে তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধার বড় ভাই আব্দুল হালিম মানিকের এইচ এম এস ব্রিকস্ ১ শত গজ দুরে ও পূর্বে নুরুল ইসলামের এন এম বি ব্রিকস্ ১ শত ৫০ গজ দুরে অবস্থিত। সরকারী সকল নিয়ম মেনে ভাটার কার্যক্রম শুরুর প্রথম থেকেই ট্রেড লাইন্সে নেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে ট্রেড লাইন্সে চাইলেও তাঁতীবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মৃধা ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আমাকে ট্রেড লাইন্সে না দেওয়ায়, শুধুমাত্র ট্রেড লাইন্সের অযুহাতে আমার ইট ভাটাটি ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গুড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমার প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে, অন্যায় ভাবে ট্রেড লাইন্সে প্রদান না করায়, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাশাপাশি থাকা ৩টি ইট ভাটার মধ্যে ১টি আংশিক গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এ ব্যাপারে কামারদুলিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস জানান চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ইট ভাটার পাশে অন্য ভাটা হতে দিবে না বলে, ট্রেড লাইন্সে না দিয়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে ইট ভাটা টি বন্ধ করে দিয়েছে, একই গ্রামের ইউসুফ মৃধা ও কুদ্দস মোল্লা জানান প্রশাসনের উচিত এই ভাটার মতই অন্য গুলোও বন্ধ করে দেওয়া, এখানে দেখা যাচ্ছে কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ জানান হাইকোর্টের আদেশ ও প্রয়োজনীয় লাইন্সে না থাকায় কে এস বি ব্রিকস্রে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।