হাওড় অঞ্চলে অতিথি পাখির আগমণ না থাকায় বিভিন্ন জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন ব্যহত।
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: সম্প্রতি শীত কাল আসতে না আসতেই বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের হাওড়ে অতিথি পাখির আগমণ না থাকায় বিভিন্ন জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। যেমন- প্রতি বৎসর শীত কাল আসার সাথে সাথে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সুবিশাল হাওড় অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ অতিথি পাখিদের আগমণ হত। এখন আর আগের মতো সেই দৃশ্য দেখা যায় না। শীত কালে এই মৌসুমে অতিথি পাখিরা ঝাঁকের ঝাঁক দল বেধে আকাশে উড়ে বেড়াত। পাখিদের কিচিমিচি শব্দে আর কলকাকলীতে হাওড় অঞ্চল মুখরিত হত। সেই দৃশ্য দেখে হাওড় অঞ্চলের অগনিত মানুষ কতই না আনন্দ ভোগ করত। অতিথি পাখিরা দিনের শেষে রাতের বেলায় বিগত বৎসরে কৃষকের জমিতে ঝরে পড়া ধান আহার করে দিনের বেলায় বড় বড় জলমহাল ও জলাশয়ে বাসমান পানিতে নিদ্রায় গিয়ে যে মল ত্যাগ করিত সেই মল জলমহালের মাছে খেয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে মৎস্য চাষীদের অধিক মুনাফা অর্জন হত। জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার সাইব্রেরিয়ান এলাকায় এই শীত কালে প্রচন্ড বরফ পরে, সেই বরফ অতিথি পাখিরা সইতে না পেরে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের হাওড় এলাকায় আগমণ করে বড় বড় জলাশয়ে আশ্রয় নেয়। শীত কালের শেষে গ্রীষ্ম কালে অস্ট্রেলিয়ার সাইব্রেরিয়ান এলাকায় ফেরত চলে যায়। এখন অতিথি পাখিদের আগমণ আস্তে আস্তে কমে এসেছে যার ফলে মৎস্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।